জবরদস্তি: কেতুগ্রামের রাস্তায়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
কোথাও মহিলারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি আটকাছেন, তো কোথাও লাঠি হাতে যুবকের দল চালকের কাছে হাত পাতছেন—কালীপুজোর আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই দৃশ্য চোখে পড়ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগও জমা পড়ছে। রাস্তা আটকে চাঁদার জুলুম রুখতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশও। চলতি সপ্তাহেই জেলা পুলিশ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘চাঁদার জুলুম করা যাবে না। সে জন্য জেলার বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশের বিশেষ দল ঘুরছে। গাড়ি আটকে চাঁদা তোলার দৃশ্য দেখলেই গ্রেফতার করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান শহরের অলিগলিতে গাড়ি আটকে, বিশেষ করে টোটোগুলোকে আটকে চাঁদার কুপন দেওয়ার ‘রীতি’ চালু হয়েছে। মণ্ডপ বা মন্দিরের সামনে দিয়ে যাওয়া প্রতিটি টোটো চালককে দশ টাকা করে চাঁদা দিতে কার্যত বাধ্য করা হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই টোটো, গাড়ি আটকাতে দেখা যাচ্ছে কিশোরদের। পুলিশের বার্তা, ওই ভাবে গাড়ি আটকে চাঁদা তুলতে দেখলে কিশোরদেরও আটক করে আনা হবে। তার পরে অভিভাবকদের ডেকে ‘কাউন্সেলিং’ করে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহর ছাড়াও কালনা রোডে ও সিউড়ি রোডে চাঁদার জুলুম মারাত্মক। ওই সব রাস্তায় চাঁদার জুলুমের শিকার হয়েছে রোগী নিয়ে আসা চালকও! তিনি বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন। ওই দু’টি রাস্তাতেই লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে চাঁদা আদায়কারীরা। গাড়ি দেখলেই রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে। কেতুগ্রামেও চাঁদা আদায়ের দৌরাত্ম্য দেখা গিয়েছে। ফি বছর এই দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ জানায়, সোম ও মঙ্গলবার ওই সব রাস্তায় সাদা পোশাকে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্ধমান থানা ছাড়াও আউশগ্রাম, রায়না, জামালপুর, খণ্ডঘোষ-সহ জেলার সাতটি থানা থেকে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy