Advertisement
১৪ জুন ২০২৪

ক্যারাটে শিখেই উজ্জ্বল কন্যাশ্রী

পামলিকার বাবা গোপাল দত্ত তাঁত কারখানায় কাজ করেন। মা লক্ষ্মীদেবী স্থানীয় একটি নার্সিংহোমের কর্মী। গোপালবাবুর নিজের ক্যারাটে শেখার শখ থাকলেও পরিবারের অবস্থার কারণে তা পারেননি।

সফল: পোস্টারে পামলিকা দত্ত। নিজস্ব চিত্র

সফল: পোস্টারে পামলিকা দত্ত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ১০:১০
Share: Save:

বাড়ি থেকে বাসে-ট্রেনে ঝুলে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নিতে যেত পড়শি জেলার নবদ্বীপে। সেই মেয়েই রাজ্য ও জাতীয় স্তরে জিতেছে একের পর এক পুরস্কার। জেলা প্রশাসনের ‘পোস্টার গার্ল’ পামলিকা দত্ত আজ, শুক্রবার ২৮ জুলাই কন্যাশ্রী দিবসে পূর্ব বর্ধমানের প্রতিনিধি হিসেবে পুরস্কার নেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে।

পূর্বস্থলীর শ্যামবাটীর দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী বলে, ‘‘কন্যাশ্রীর হাত ধরে প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রত্যেক মেয়ের কাছে এই স্বপ্নটা পৌঁছে দিতে হবে।’’

পামলিকার বাবা গোপাল দত্ত তাঁত কারখানায় কাজ করেন। মা লক্ষ্মীদেবী স্থানীয় একটি নার্সিংহোমের কর্মী। গোপালবাবুর নিজের ক্যারাটে শেখার শখ থাকলেও পরিবারের অবস্থার কারণে তা পারেননি। লক্ষ্মীদেবী ও গোপালবাবু বলেন, ‘‘পামলিকা আমাদের একমাত্র সন্তান। অর্থকষ্টের মধ্যেও যতটা সম্ভব করছি। ছোট থেকে ওকে আমরা বুঝিয়েছি, তুমি কারও থেকে কম নও।’’

পামলিকার কথায়, ‘‘বাড়ি থেকে প্রথমে অটো করে পূর্বস্থলী স্টেশন, সেখান থেকে ট্রেনে নবদ্বীপ যেতে হয়। অনেক সময় স্কুল থেকে গিয়ে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।’’ পারুলিয়া কে কে বিদ্যায়তনের এই ছাত্রী রাজ্য স্তরে পরপর পাঁচ বার ও জাতীয় স্তরে এক বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন সপ্তাহে কলকাতায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয় সে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ সাহা বলেন, ‘‘ আমরা গর্বিত।’’ জেলা প্রশাসনের কন্যাশ্রী প্রকল্প রূপায়নের দায়িত্বে থাকা শারদ্বতী চৌধুরী বলেন, “যে কোনও বাধা ইচ্ছাশক্তি থাকলে টপকানো যায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE