তাদের রুট থেকে ১ মে-র মধ্যে অটো-টোটো চলাচল বন্ধ না করলে ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মিনিবাস মালিক ও কর্মীরা। প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হওয়ায় আপাতত সেই রাস্তায় হাঁটেননি তাঁরা। কিন্তু শীঘ্রই সমস্যা না মেটানো হলে টানা বাস বন্ধ রাখা হবে বলে তাঁদের দাবি। যদিও প্রশাসনের কর্তারা জানান, দিন পনেরোর মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের একটি বৈঠক হয়। আধিকারিকেরা ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বৈঠক শেষে জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জানান, বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত সেগুলি কার্যকর হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফে বিভিন্ন এলাকায় অটো স্ট্যান্ড তৈরি করে দেওয়া হবে। স্ট্যান্ড ছাড়া অটো দাঁড়ানো যাত্রী তোলানামা চলবে না। ফলে, যাত্রী নিয়ে মিনিবাসের সঙ্গে বিবাদ মিটবে। এক জন অটো মালিককে একটি মাত্রই রুট দেওয়া হবে। ফলে, একাধিক অটো কিনে নানা রুটে ভাড়ায় চালানো বন্ধ করা যাবে। বেশি সংখ্যায় বেকারদের রুজির ব্যবস্থা হবে।
মেয়র বলেন, ‘‘শহরের কোথায় কত অটো চলছে, কারা চালাচ্ছেন, পুরসভার আধিকারিকেরা তা নিরীক্ষণ করছেন। সেই কাজ শেষ হলে পরিবহণ দফতর রুট পারমিট দেবে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রুট পারমিটের প্রশ্নে আগের সিদ্ধান্ত খানিক রদবদল হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ৮৭টি রুটের পরিবর্তে ৫৫টি রুট ও ১৮৭০টি অটোর বদলে ১৪৩৫টি অটোকে চলার অনুমতি দেওয়া হবে।
বাসের রুটে অটোর যাত্রী তোলা নিয়ে বিবাদ চলছে বহু বছর। মিনিবাস মালিকদের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট বাসের রুটে অটো চলাচল অবৈধ ঘোষণার পরেও তা বন্ধ হয়নি। ফলে, বিবাদ চরমে ওঠে। একাধিক বার মারপিটের জেরে বাস বন্ধও হয়েছে। এ বার মালিক ও কর্মীরা টানা বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন। রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক বলেন, ‘‘প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’’
অটোয় লাগাম টানার পাশাপাশি টোটোর ক্ষেত্রেও কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান প্রশাসনের কর্তারা। জেলা প্রশাসন ও পুরসভার যৌথ উদ্যোগে মাস তিনেক আগে দেওয়া ‘টেম্পোরাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ (টিন) ছাড়া কোনও টোটোকেই রাস্তায় চলতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে জাতীয় ও রাজ্য সড়কেও টোটো চলতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy