ধৃতেরা।
ভেজাল দুধ বিক্রির অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩০০ কিলোগ্রামের গুঁড়ো দুধের প্যাকেটও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুদবুদ থানার সেনাছাউনির গেটের সামনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পানাগড়ের বাসিন্দা পরেশনাথ সেন একটি মোটরভ্যান নিয়ে পানাগড় সেনাছাউনির গেটের কাছে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উমেশ পণ্ডিত ও রাজা পাসোয়ান নামে দুই ব্যক্তি। তাদের এ ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সেনাবাহিনীর লোকজনের সন্দেহ হয়। গেটে কর্তব্যরত কর্মী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় সেনাবাহিনীর তরফে বুদবুদ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তিন জনকে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানাগড় সেনাছাউনির ভিতরে থাকা গরু, মহিষদের খাবার সরবরাহ করতেন পরেশ। পানাগড়ে তাঁর দুধের দোকান রয়েছে। প্যাকেটের দুধ বিক্রি করেন তিনি। যদিও সেই দোকান চালানোর কোনও লাইসেন্স মেলেনি। মোটরভ্যান থেকে ৩০০ কিলোগ্রাম গুঁড়ো দুধ মিলেছে। পুলিশ জানায়, জেরা করার পরে পরেশ-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই গুঁড়ো দুধের প্যাকেট নিয়ে তাঁরা কোথায় যাচ্ছিলেন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বাজেয়াপ্ত প্যাকেট।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। স্বতপ্রণোদিত হয়ে তাঁরা পরেশের বিরুদ্ধে ভেজাল দুধের কারবারের মামলা রুজু করেছে। যে গুঁড়ো দুধের প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সেনাছাউনির ভিতরে একটি ফার্ম রয়েছে। সেই ফার্মের দুধ একমাত্র সেনাবাহিনীর লোকজনের জন্যই বরাদ্দ। পরেশ এত গুঁড়ো দুধ নিয়ে কেন সেনাছাউনির সামনে ঘোরাফেরা করছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
তবে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, পরেশকে জেরা করেই তাঁর দোকানের হদিস মেলে। জানা গিয়েছে, অনেক সময়ে দুধের পরিমাণ কমে গেলে গুঁড়ো দুধ দিয়ে তা হত। যদিও জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না করা পর্যন্ত ঠিক ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে পুলিশ জানায়। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে আজ, সোমবারে ফের হাজির করার নির্দেশ দেওয়া। তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে পুলিশ জানায়।
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy