Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

বালির কারবার চলছেই, অজয়ের ঘাটে আটক গাড়ি

বেআইনি বালি কারবারের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও পাণ্ডবেশ্বরে অজয়ের ঘাটে শনিবার অভিযান চালাল প্রশাসন। অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক, ডাম্পার ও মাটি কাটার যন্ত্র আটক করা হয়েছে।

ফরিদপুরে অভিযানে কর্তারা। নিজস্ব চিত্র।

ফরিদপুরে অভিযানে কর্তারা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:০৯
Share: Save:

বেআইনি বালি কারবারের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও পাণ্ডবেশ্বরে অজয়ের ঘাটে শনিবার অভিযান চালাল প্রশাসন। অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক, ডাম্পার ও মাটি কাটার যন্ত্র আটক করা হয়েছে।

শনিবার আসানসোলের অতিরিক্ত জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরার নেতৃত্বে দুর্গাপুর-ফরিদপুরের রসিকডাঙা, মাধাইবনি এবং পাণ্ডবেশ্বরের কেন্দা ঘাটে অভিযানে চালায় প্রশাসন। প্রশাসন জানায়, ছ’টি বালিবোঝাই ও ১০টি ফাঁকা ট্রাক, ডাম্পার এবং দু’টি মোরামবোঝাই ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে একটি মাটি কাটার যন্ত্রও।

বালি তোলা নিয়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তিনটি নির্দেশ রয়েছে— প্রথমত, জলের তলা থেকে বালি তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। দ্বিতীয়ত, কোনও রকম যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলা যাবে না। তৃতীয়ত, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বালি তোলা যাবে। অভিযোগ, এগুলির কোনওটাই তেমন ভাবে মানা হচ্ছিল না।

প্রশাসনের কর্তারা জানান, দিন কয়েক ধরেই ঘাট ও ঘাটের বাইরে থেকে বেআইনি কারবারিরা বালি তুলছে বলে অভিযোগ আসছিল। এমনকী, পাণ্ডবেশ্বরের সড়ক ও রেল সেতু, কাঁকসায় ইলামবাজার সেতুর নীচে থেকেও বালি তোলার অভিযোগ মেলে। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের গৌরবাজার এলাকায় বালির সঙ্গে সঙ্গে নদী পাড়ের মাটিও কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাণ্ডবেশ্বরেও বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই দুই ব্লকের বিভিন্ন ঘাট থেকে বালি তুলে প্রথমে তা উখড়া-অন্ডাল রাস্তার পাশে দক্ষিণখণ্ডে জমা করা হয়। পরে সেখান থেকে দু্র্গাপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়।

এর আগে কাঁকসা, কেতুগ্রাম-সহ বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি বালির কারবার ঘিরে গোলামাল, আবাসনে গিয়ে বিডিও-কে হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে কাঁকসা, জামালপুর-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জোরদার অভিযানে নামে প্রশাসন। এ দিনের অভিযান, সেই সূত্রেই বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ।

এ দিন আটক করা ট্রাক, ডাম্পারগুলির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান শশাঙ্কবাবু। সূত্রের খবর, এ দিন আটক করা বেশ কয়েকটি ট্রাক, ডাম্পারে ইসিএলের স্টিকার রয়েছে। সেগুলি আসল কি না, তা পরীক্ষা করছে প্রশাসন। প্রশাসনের একটি সূত্রের অভিযোগ, ইসিএলের ঠিকাদারদের একাংশ সংস্থার নাম করে বালি তুলে নিয়ে বেআইনি ভাবে ব্যবসা করেন। শশাঙ্কবাবু জানান, ইসিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Sand Trafficking Trucks detained
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE