জমির মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের মামলা চলছে হাইকোর্টে। সেই জমিতে কোনও নির্মাণ বা কোনও কিছু করা যাবে না বলে আদালতের স্থগিতাদেশও রয়েছে বলে দাবি। অথচ ওই বিতর্কিত জমিটিই ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের কাঁকসার বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জমির বর্তমান চরিত্র কী, অভিযোগ সত্যি হলে কলেজের অনুমোদন কেন বাতিল করা হবে না ইত্যাদি বিষয় জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই কলেজটি অনুমোদন পেয়েছে। দেড়শো আসনে ভর্তির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিন কয়েক সুব্রত মল্লিক নামে দুর্গাপুরের বিধাননগরের এক বাসিন্দা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ করেন, কলেজটি ২০ একর জমির উপরে তৈরি হয়েছে। কিন্তু ওই ২০ একরের মধ্যে দু’একর জমির মালিকানা নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কয়েক জনের মধ্যে মামলা চলছে। ২০১৪ সালে ওই জমিটির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা জমিতে কী ভাবে কলেজের একাংশ তৈরি করা সম্ভব, তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম।’’
কলেজ সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারে ওই মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের আধিকারিক ডিভিকে রাও গত ১৯ সেপ্টেম্বর চিঠি পাঠান। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষের জবাব না পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেও ওই চিঠিতে জানানো হয়। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy