রুদ্ধ: এসটিকেকে রোডে। ধাত্রীগ্রামে। নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার দু’ধারে ডাঁই করে রাখা কাঠ, পাথর, বালি। কোথাও বা রীতিমতো দোকান ফেঁদে চলছে ব্যবসা। আর এর জেরে হারিয়ে যেতে বসেছে ফুটপাথ। এমনই হাল কালনা মহকুমার বিভিন্ন এলাকায়। এর জেরে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অভিযোগ, বারবার জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
মহকুমার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এসটিকেকে রোড। কালনা শহর লাগোয়া হাসপাতাল চত্বর, লিচুতলা, মালতিপুর, নিভুজিমোড়, মালতিপুর, ধাত্রীগ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় করাত কলগুলি রাস্তার দু’ধারে ডাঁই করে রেখেছে রাশি রাশি কাঠের গুঁড়ি। কয়েকটি জায়াগায় আবার ডাঁই করে রাখা ইট, বালি, সিমেন্ট-সহ নানা নির্মাণ সামগ্রী। কেউ আবার রাস্তার পাশেই বানিয়ে ফেলেছেন ধানের গোলা। গজিয়ে উঠেছে চায়ের দোকান, সেলুন। এক করাতকল মালিকের যদিও যুক্তি, ‘‘জানি এটা বেআইনি। তবে জায়গা না থাকায় রাস্তার ধারেই কাঠের গুঁড়ি রাখতে বাধ্য হই।’’
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর ফলে রাস্তার ধারে ফুটপাথই হারিয়ে যেতে বসেছে। ফলে প্রায়শই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। বাসিন্দারা জানান, ফুটপাথ দখল হওয়ায় রাস্তার পাশ দিয়ে যাতায়াত করাই বিপজ্জনক। বছর চারেক আগে পান্ডুয়া মোড়ে একটি কাঠগোলার সামনে ডাম্পার ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যুও হয়। স্থানীয় বাসিন্দা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা কমাতে ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে হবে। এখন যা অবস্থা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেই ভয় লাগে।’’
শুধু এসটিকেকে রোডই নয়। ফুটপাথ হারিয়ে গিয়েছে কালনা-মেমারি, কালনা-বর্ধমান, কালনা-গুড়াপ রোডের নানা জায়গাতেও। বাসিন্দারা জানান, কালনার বুলবুলিতলা-সহ নানা এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বাঁক। সেখানে একেই উল্টো দিকের যানবাহন বা পথচারীদের দেখা যায় না। তার উপরে ফুটপাথ দখল হয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে।
কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া অবশ্য বলেন, ‘‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। বিপজ্জনক রাস্তাগুলির তালিকা তৈরি করেছে মহকুমা প্রশাসন। ওই স্থানগুলিতে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy