প্রতীকী ছবি।
অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য আজ, শনিবার থেকে ‘পোষণ’ নামে একটি প্রকল্প চালু করতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই প্রকল্পের ঘোষণা করে বিদায়ী জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “জেলায় ৩৯১ জন শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের জন্যই এই প্রকল্প।’’ জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবও বলেন, “অন্য জেলার চেয়ে আমাদের জেলায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা কম। আমরা চাইছি, জেলায় কোনও শিশুই যেন অপুষ্টিতে না ভোগে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুর বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনের পরিমাণ হ্রাস পেলে প্রাথমিক ভাবে অপুষ্টিতে আক্রান্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। এ বছরের জুলাই পর্যন্ত এ রকম ৩৯১ জন শিশুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জেলার ২৩টি ব্লকের ৬৮১১টি কেন্দ্রের ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার শিশুর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ওজনের পরিমাপ নেওয়ার পর জেলা প্রশাসন ওই সব শিশুকে ‘অপুষ্ট’ বলে জানিয়েছে। প্রশাসনের হিসেবে প্রতি ব্লকেই অপুষ্টিতে ভোগা শিশু রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম দিকে রয়েছে জামালপুর (৩৩ জন) ও মেমারি ২ ব্লক (২৮ জন)। জেলাশাসক জানান, প্রথম ধাপে অপুষ্ট শিশুদের দেখভালের জন্য আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে ওই সব শিশুর বাড়ি ঘুরে এসে রিপোর্ট দেন। তার ভিত্তিতে ওই পরিবারগুলিকে একশো দিনের প্রকল্পে একশো দিন কাজ দেওয়া নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও মুরগি পালন, ফল গাছ বিতরণ করে স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও অঙ্গনওয়াড়ি থেকে অপুষ্টিতে ভোগা প্রসূতি ও শিশুদের প্রতিদিন অতিরিক্ত খাবার দেওয়া হবে। তারপরেও অপুষ্ট শিশুর সন্ধান পেলে জেলা প্রশাসন ভিটামিন যুক্ত বিশেষ খাবার প্রতিদিন দেবে।
দেবুবাবু বলেন, “আগামী ৬ মাস ধরে ওই সব শিশুদের প্রতিদিন খাবারের পাউচ দেওয়া হবে। এর জন্য জেলা পরিষদের ১৭ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে।’’ জেলা প্রশাসনের দাবি, রাজস্থান-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ওই খাবার দেওয়ার ফলে শিশুদের অপুষ্টি দূর হয়েছে। রায়না ২ ও খণ্ডঘোষ ব্লকে পরীক্ষামূলক ভাবে ওই খাবার দিয়েও ভাল ফল হয়েছে। জেলাশাসকের দাবি, “এ রাজ্যে পূর্ব বর্ধমানই এমন প্রকল্প নিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy