দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলার শ্রমিকদের এ বার থেকে আর নানা সমস্যা মেটানোর জন্য কলকাতা যেতে হবে না। আসানসোলের শ্রম ভবনেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান পাবেন বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের শ্রমিক-কর্মীরা। রবিবার আসানসোলে শ্রমিক মেলার উদ্বোধন করে এ কথা জানান রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক মলয় ঘটক।
আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে দু’দিনের শ্রমিক মেলা শুরু হয়েছে। এ দিন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার অনুদান তুলে দেন শ্রমমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আসানসোলে একটি আধুনিক শ্রম ভবন তৈরি করা হয়েছে। এই দফতর থেকে পাঁচ জেলার শ্রমিক-কর্মীরা তাঁদের যাবতীয় বিরোধ ও সমস্যা মেটাতে পারবেন। দ্রুত সেই সুবিধা চালু করা হবে।’’ তিনি দাবি করেন, বর্তমানে রাজ্যের শ্রমিক-কর্মীরা মাসে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বেতন পান। যা আগের সরকারের আমলে ছিল মাত্র ২২০০ টাকা। মন্ত্রীর অভিযোগ, দীর্ঘকাল অসংগঠিত শ্রমিক-কর্মীদের বেতনের পুনর্গঠন না করার ফলেই এই দশা ছিল।
মলয়বাবুর দাবি, রাজ্যের অধিকাংশ শ্রমিক-কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। তাঁদের রোজগারের পাওনা নগদে মিটিয়ে দিতে হয়। কিন্তু নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে ওই শ্রমিকেরা হাতে নগদ পাচ্ছেন না। অনেকে কাজ হারিয়েছেন। ফলে, তাঁদের দিন গুজরান করতে সমস্যা হচ্ছে বলে শ্রমমন্ত্রীর অভিযোগ।
এ দিন আর্থিক অনুদান পেয়ে খুশি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা। কুলটির নির্মাণকর্মী মথুরা মণ্ডল জানান, তাঁর মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। তার পড়াশোনার খরচের জন্য তিরিশ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন তিনি। মথুরাবাবু বলেন, ‘‘এই টাকাটা খুব উপকারে লাগবে।’’ মেয়ের বিয়ের জন্য আর্থিক অনুদান চেয়ে আবেদন করেছিলেন আসানসোলের পরিবহণ কর্মী রাজকুমার ভার্মা। তাঁকেও শ্রম দফতরের তরফে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজকুমারবাবু বলেন, ‘‘এই অনুদান পেয়ে বড় উপকার হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy