Advertisement
০২ মে ২০২৪
Mysterious Death at kanksa

কেন তিন জন খুন, কাঁকসায় কাটেনি ধন্দ

সিমরনের মা প্রতিমা সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে এ দিন জানান, সে দিন দুপুরে তিনি তাঁর জা রিঙ্কু বিশ্বকর্মার কাছে জানতে পারেন, এক যুবক তাঁদের বাড়িতে এসেছিল।

সারদাপল্লিতে তদন্তে পুলিশ। জটলাও।

সারদাপল্লিতে তদন্তে পুলিশ। জটলাও। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২৬
Share: Save:

বাড়ি থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধারের ঘটনার পরে প্রায় ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কিনারা অধরাই। কাঁকসার পানাগড় রেলপাড়ের সারদাপল্লিতে খুনে অভিযুক্তের হদিস পায়নি পুলিশ। শনিবার সকালে অসম থেকে বাড়ি ফেরেন গৃহকর্তা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা বিশ্বকর্মা। তিনটি দেহের এ দিন আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্ত করা হয়।

শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ সারদাপল্লিতে ধনঞ্জয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ছোট মেয়ে সিমরন, শাশুড়ি সীতা দেবী ও শ্যালকের ছেলে সোনু বিশ্বকর্মার দেহ। ধনঞ্জয় ও তাঁর স্ত্রী কয়েক দিন আগে অসমে বড় মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। ছোট মেয়ে সিমরনের দেখভালের জন্য বাড়িতে আসেন শাশুড়ি ও শ্যালকের ছেলে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, শ্বাসরোধ করে তিন জনকে খুন করা হয়েছে।

ঘটনাটি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কে বা কারা কী কারণে তিন জনকে খুন করল, শনিবারও সে নিয়ে ধন্দে পুলিশ। সিমরনের মা প্রতিমা সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে এ দিন জানান, সে দিন দুপুরে তিনি তাঁর জা রিঙ্কু বিশ্বকর্মার কাছে জানতে পারেন, এক যুবক তাঁদের বাড়িতে এসেছিল। তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেন সিমরন। তাঁর দাবি, এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সিমরনের সম্পর্ক ছিল। সেই যুবক মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসতেন। অন্য কারও সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক ছিল না মেয়ের। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে ছিলাম না। যেটুকু শুনেছি, তাতে ওই যুবকই আমাদের বাড়িতে এসে থাকতে পারে।’’ পুলিশ অবশ্য তদন্তের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এলাকার বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এসিপি (কাঁকসা) সুমনকুমার জয়সওয়াল বলেন, ‘‘তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

শনিবারও ওই বাড়ির সামনে মানুষজনের ভিড় দেখা যায়। এ দিন বাড়ির কুকুরটিকে উঠোনে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ঘটনার আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়েনি, জানান এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দা রামপিয়ারী যাদব জানান, শুক্রবার ঘটনার পর থেকে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। এ দিন তিনি নিজের ব্যবসার জায়গাতেও যেতে পারেননি। তাঁর দাবি, ‘‘কারও সঙ্গে এই পরিবারের গোলমাল ছিল না বলেই আমরা জানি। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, দ্রুত খুঁজে বার করুক পুলিশ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanksa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE