Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Manipur Violence

ইম্ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে ১৬ জন পড়ুয়ার

সোমবার বিকেলে ফোনে পরিস্থিতির কথা জানালেন ওই ছাত্রেরা। তাঁরা জানান, ছাত্রাবাসের মধ্যেই কার্যত বন্দি হয়ে রয়েছেন।

National Sports University

মণিপুরের ইম্ফলে ন্যাশনাল স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
চিত্তরঞ্জন শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৩ ০৯:৫১
Share: Save:

হিংসার আবহে মণিপুরের ইম্ফলে ন্যাশনাল স্পোর্টস ইউনিভার্সিটিতে আটকে পড়েছেন পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, হাওড়া-সহ পশ্চিমবঙ্গের নানা জেলার ১৬ জন ছাত্রছাত্রী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা হেল্পলাইনে ফোন করলেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত তাঁদের ফেরানোর বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি তাঁদের অনেকের। ফলে, আতঙ্ক নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।

পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা তথা চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের (সিএলডব্লিউ) ক্রীড়া বিভাগে কর্মরত, জিমনাস্টিকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সোনালি কোমারের ছেলে সপ্তর্ষি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্যাচেলার অব সায়েন্স ইন স্পোর্টস কোচিং’ বিষয়ের দ্বিতীয় সিমেস্টারের পড়ুয়া। তাঁর সঙ্গেই সেখানে আটকে রয়েছেন আসানসোলের ইসমাইলের আশুতোষ কুমার, বীরভূমের ইলামবাজারের সুবোধ মাড্ডি, হাওড়ার শিবপুরের সন্দীপ দত্ত-সহ ১৬ জন।

সোমবার বিকেলে ফোনে পরিস্থিতির কথা জানালেন ওই ছাত্রেরা। তাঁরা জানান, ছাত্রাবাসের মধ্যেই কার্যত বন্দি হয়ে রয়েছেন। সপ্তর্ষি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সব দোকান বন্ধ থাকায় আটা সংগ্রহ করতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিন বেলা শুধু ডাল আর ভাত জুটছে। আশুতোষও জানান, আতঙ্কে দিন কাটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা ততটা আশঙ্কায় নেই। তবে তাঁর সংযোজন: “ফোন করা যাচ্ছে না সব সময়। হিংসায় রাশ না টানা গেলে জানি না কত দিন আমরা সুরক্ষিত থাকব।” ইন্টারনেট সংযোগও অনিয়মিত বলে জানান ওই পড়ুয়ারা।

সুবোধ ও সন্দীপ দত্ত চতুর্থ সিমেস্টারের পড়ুয়া। তাঁরা জানান, শুধুমাত্র খাওয়ার সময়ে সবার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সুবোধ জানান, ৬ মে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা হেল্পলাইনে ফোন করেছিলেন। সেখান থেকে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে সুবোধের অভিযোগ, “ওই নম্বরে এসএমএস করে আমরা বাড়ি ফেরার জন্য বিভিন্ন তথ্য পাঠিয়েছি। বাড়ি ফেরার জন্য উড়ানের টিকিটের আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও কোনও সাড়া মেলেনি।”

সপ্তর্ষির মা সোনালি জানান, তিনি ৬ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে ই-মেল করে সব পড়ুয়াকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সোনালি বলেন, “ছেলে ফিরে না আসা পর্যন্ত খুবই আতঙ্কে রয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও ওখানে ছেলে আর যেতে পারবে কি না, জানি না।”

জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) এস অরুণ প্রসাদ বলেন, “আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি। তবে রাজ্য স্তরে বিষয়টি নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেই জানি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur Violence Chittaranjan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE