ছবি: সংগৃহীত।
প্রকল্প গুটিয়ে ফেলার কোনও সরকারি নির্দেশিকা আসেনি ঠিকই। তবে একমাত্র চালু ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে গেলে দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের (ডিটিপিএস) আর যে কোনও ভবিষ্যৎ নেই, তার ইঙ্গিত মিলেছে ডিভিসি-র তরফেই। তাই যে কোনও মূল্যে ইউনিটটি চালু থাক, এটাই চাইছেন ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক-কর্মী থেকে স্থানীয় বাসিন্দা।
ডিভিসি-র অন্দরে খোঁজ নিলে অবশ্য জানা যাচ্ছে, নভেম্বরের মধ্যে চতুর্থ ইউনিটটি বন্ধ করে ফেলার সিদ্ধান্ত মোটের উপরে পাকা। দুর্গাপুরের মায়াবাজারে গড়ে ওঠা এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট আগেই বন্ধ করা হয়েছে। ২১০ মেগাওয়াটের চতুর্থ ইউনিটটি টিমটিম করে চালু আছে। ডিভিসি সূত্রের খবর, চলতি বছর ২১ জুন সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যান্ড্রু ডব্লিউ কে ল্যাংস্টির উপস্থিতিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় কলকাতায়। সেই সময় ডিভিসি প্রায় ১৪৩০ মেগাওয়াট উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল। তা কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা জানানো হয়।
তারই অঙ্গ হিসাবে নভেম্বরের মধ্যে ২৫ বছর পেরোনো ইউনিটগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বোকারোর তিনটি, চন্দ্রপুরার একটি এবং ডিটিপিএসের চতুর্থ ইউনিট ছিল সেই তালিকায়। গত ৮ সেপ্টেম্বর বোকারোর দু’টি ও চন্দ্রপুরার একটি ইউনিট বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে ডিভিসি।
বোকারো ও চন্দ্রপুরায় চালু ইউনিট থাকায় প্রকল্প গুটিয়ে ফেলার আশঙ্কা নেই। কিন্তু, চতুর্থ ইউনিট বন্ধ হলে ডিটিপিএস পুরোপুরি উৎপাদনহীন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের জমি ও সম্পত্তির তালিকা তৈরি এবং তা পাহারা দেওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে ডিভিসি সূত্রে খবর। কয়েক কিলোমিটার দূরে, অন্ডালে সংস্থার নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও পুরোদমে উৎপাদন শুরু করেছে। এই অবস্থায় দুর্গাপুরের ২৫ বছরের পুরনো ইউনিট চালু রাখতে আগ্রহী নন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। ডিটিপিএস গুটিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও ডিভিসি-র এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘চতুর্থ ইউনিটটির উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। তাছাড়া, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন পরিবেশবিধি চালু হবে। ১৯৮২ সালে চালু হওয়া এই ইউনিটটি সেই বিধি মানতে পারবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy