কামরুজ্জামান সরকার। ফাইল চিত্র
‘চেন-খুনি’কে এ বার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে সিআইডি। সোমবার ধৃত কামরুজ্জামান সরকারকে কালনা এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। সিআইডির আর্জি মঞ্জুর করেন বিচারক।
২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি মন্তেশ্বরে নিজের বাড়িতে খুন হন বৃদ্ধা সাধনা চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সকালে পরিবারের অন্য সদস্যেরা পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। তাঁরা ফিরে দেখেন, ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে সাধনাদেবী। গলায় পেঁচানো একটি মাফলার। ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার চেনও উদ্ধার করে পুলিশ। ২৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের হয় মন্তেশ্বর থানায়। প্রথমে পুলিশ, পরে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়ে গেলেও খুনের কিনারা হয়নি।
কামরুজ্জামান ধরা পড়ার পরে সিআইডি কর্তারা জানতে পারেন, ধৃত জেরায় ওই খুনের কথা স্বীকার করেছে। এর পরেই মামলাটি পুনরায় শুরু করতে উদ্যোগী হয় সিআইডি। এ দিন আদালতে সিআইডির তরফে দুটি আবেদন করা হয়। একটি মামলাটি পুনরায় শুরু, অন্যটি ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার। কামরুজ্জামানের আইনজীবী শুভ্র রায় জানান, পুলিশ এই মামলায় এক জনকে আগেও ধরেছিল। কিন্তু তথ্যপ্রমাণ না মেলায় তাকে মুক্ত করা হয়। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই সাধনাদেবী খুনের ঘটনায় কামরুজ্জমানকে জেরা করা হবে। পুলিশ জানায়, এত দিন একটি খুনের ঘটনায় কামরুজ্জমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ দিন আরও একটি মামলা দায়ের হল। ১ জুলাই ফের কামরুজ্জামানকে আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক কুসুমিকা দে মিত্র।
এ দিন আদালতে তোলার আগে কামরুজ্জমানকে পুলিশ লক-আপে অন্য বন্দীদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায়। আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে বহু মানুষ আশপাশ থেকে বহু প্রশ্ন করে তাকে। তবে ধৃত কোনও উত্তর দেয়নি। আদালতের ভিতরেও এক বারই তাকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে আইনজীবীর সঙ্গে। পুলিশ জানিয়েছে, সংশোধনাগারেও চুপচাপ ছিল কামরুজ্জামান। সংশোধনাগারের কর্মীরা যখন যা বলেছেন বাধ্য ছেলের মতো সব শুনেছে সে। তবে মাঝেমধ্যে মিথ্যে বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও তদন্তকারীদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy