দুর্গাপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মিসভায় বক্স। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের কর্মিসভায় সাউন্ডবক্স ব্যবহারের অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বক্স ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান, পরীক্ষার সময়ে সাউন্ডবক্স বাজানোর অনুমোদন দেওয়া হয় না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে বলে তাঁর আশ্বাস। গুসকরায় আবার শনিবার রাতে সাউন্ডবক্স বাজাচ্ছিলেন কিছু যুবক। পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সভাপতি তপন মজুমদার (টাম্পু) শহরের ডিভিসি মোড় লাগোয়া এলাকায় রবিবার একটি কর্মিসভার আয়োজন করেন। সে জন্য কয়েক দিন আগে থেকেই কার্ড পাঠিয়ে আবেদন জানানো হয়। সঙ্গে চা ও টিফিনের কুপনও ছিল। এ দিন সকাল থেকে কর্মিসভা আয়োজনের তৎপরতা শুরু হয়। মঞ্চের দু’দিকে বড়-বড় দু’টি সাউন্ডবক্স বসানো হয়। এছাড়া ছোট সাউন্ডবক্সও ছিল আশপাশে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুপুরের পরে রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজতে শুরু করে। মাঝে-মাঝে ছিল অনুষ্ঠানের ঘোষণা। বিকেল ৫টা নাগাদ সভা শুরু হতে একে-একে মঞ্চে আসেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ১ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান মৃগেন পাল, কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু আচার্য, দীপঙ্কর লাহা প্রমুখ।
মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সাউন্ডবক্স বাজিয়ে এমন সভা আয়োজন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জানায়, এলাকায় এই ধরনের অনুষ্ঠানে মনসংযোগ নষ্ট হয়। ব্যাঘাত ঘটে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে। এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সকলেরই সংযত থাকা উচিত।’’ সভার আয়োজক তপনবাবুর অবশ্য দাবি করেন, নিয়ম মেনেই সভা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অল্প শব্দে সাউন্ডবক্স বেজেছে। সন্ধে ৭টার মধ্যে সভা শেষ হয়ে গিয়েছে।’’
শনিবার রাতে টহল দেওয়ার সময়ে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশের নজরে পড়ে, ক্ষেত্রপালতলায় কিছু ছেলে আলো লাগিয়ে বক্স বাজাচ্ছে। পুলিশ তা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা রতন বাগদি বলেন, ‘‘শিবরাত্রি উপলক্ষে কয়েক জন খিচুড়ি খাওয়ানোর আয়োজন করেছিল। সঙ্গে বক্স বাজানো হচ্ছিল।’’ উদ্যোক্তাদের দাবি, কম আওয়াজেই বক্স বাজানো হচ্ছিল। তবে পুলিশের নিষেধ মানা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy