কাটোয়ায় তৃণমূলের অফিসে সভা। নিজস্ব চিত্র
দাঁইহাট পুরসভায় অনাস্থা আনার প্রস্তুতি হিসেবে বৈঠক করল তৃণমূল। আজ, সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। সিপিএম থেকে আরও কাউন্সিলর দলে যোগ দিতে পারেন বলেও তৃণমূলের একাংশের দাবি।
পূর্ব বর্ধমানের ছ’টি পুরসভার মধ্যে একমাত্র দাঁইহাটই বিরোধীদের হাতে ছিল। ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতে সিপিএম, ৪টিতে তৃণমূল এবং একটিতে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। গত শুক্রবার শাসকদলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে চার জন সিপিএম কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। তার পরেই বোর্ডের ক্ষমতা দখলের তোড়জোড় শুরু করেছে তৃণমূল। রবিবার কাটোয়ায় তৃণমূলের অফিসে দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
সিপিএমের অভিযোগ, হুমকি ও পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেই দাঁইহাটে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। চার জন কাউন্সিলরকে দলে নেওয়ার পরেও অন্য বিরোধী কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, আতঙ্কের আবহ তৈরি করছে বলে এলাকার সিপিএম নেতাদের অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের রবীন্দ্রনাথবাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ওদের কাউন্সিলর তৃণমূলে আসতে চাওয়ায় সিপিএম-ই তাঁকে ভয় দেখাচ্ছে, বাড়ি থেকে বেরোতে বাধা দিচ্ছে।’’
তৃণমূল সূত্রের দাবি, দাঁইহাটে সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এলাকায় উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হয়েছে। বোর্ডসভাও ঠিকমতো হতো না। তাতেই সিপিএমের অনেক কাউন্সিলর বীতশ্রদ্ধ হয়ে দল পাল্টাচ্ছেন। দাঁইহাটের আরও দু’এক জন সিপিএম কাউন্সিলর তাঁদের দলে যোগ দিতে পারেন বলে জেলার এক তৃণমূল নেতার দাবি। যদিও সিপিএম নেতৃত্ব দাঁইহাটে দলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy