রুদ্ধ: গুসকরায়। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার অর্ধেক দখল করে দিনভর সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আলুবোঝাই ট্রাক্টর। বাকি অংশ দিয়ে চলছে ট্রাক, মোটরবাইক, যাত্রীবাহী বাস। এলাকার ব্যবসায়ী থেকে পথচারী সকলেরই আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনই হাল গুসকরা থেকে ভেদিয়া পর্যন্ত এনএইচ ২বি জাতীয় সড়কের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তার দু’ধারে চার-পাঁচটি হিমঘর রয়েছে। দিন কয়েক ধরেই ওই সব হিমঘরগুলিতে আলু রাখার কাজ চলছে। তার জন্য আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট, ভাতার থেকে চাষি ও ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টর, ভ্যানে করে আলু আনছেন। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় দিনভর রাস্তার উপরেই ট্রাক্টর, ভ্যানগুলি দাঁড়িয়ে থাকছে।
অথচ বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তা দিয়েই আউশগ্রাম ১ ব্লক অফিস, কৃষি দফতর, কিসান মান্ডি, কয়েকটি স্কুল-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। দোল উৎসবের সময়ে শান্তিনিকেতন যেতে বহু পর্যটকও ব্যবহার করেন এই রাস্তাটি। স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল দে, ব্যবসায়ী দীনবন্ধু বিশ্বাসদের অভিযোগ, “এই রাস্তায় মাঝেসাঝেই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তায় জায়গা না থাকায় মোটরবাইক চলাচল, পথচারীদের যাতায়াত অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। সব সময়ে আতঙ্কে রয়েছি।’’ সন্ধ্যে নামলে পরিস্থতি আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়়ে। এক মোটরবাইক চালকের ক্ষোভ, ‘‘রাতে ট্রাক্টরের হেডলাইটের আলো চোখে লেগে প্রায়শই বিপত্তি ঘটছে।’’ এই রাস্তায় মাঝাসাঝেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে ইটাচাঁদার কাছে এক জন মারা যান।
এর পরেও রাস্তার এমন হাল কেন? ভাতারের ট্রাক্টর চালক নওসাদ শেখ বলেন, “মাঠ থেকে আলু এনে হিমঘরে রাখা পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়ায় পাঁচ-সাত ঘণ্টা সময় লাগে। পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় রাস্তাতেই গাড়ি রাখতে হয়।’’ ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ডস্টোর অ্যাসোসিয়েশনের গুসকরা শাখার সম্পাদক ভগবতী ঘোষও বিষয়টি স্বীকার করে জানান, রাস্তায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আপাতত হিমঘরের কর্মীরাই রাস্তার যানজট সামলাচ্ছেন বলে তাঁর দাবি। গুসকরা ফাঁড়ির দাবি, অবস্থার সামাল দিতে হিমঘরগুলির কাছে সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ থাকছে। নজরদারি ভ্যান এলাকায় ঘুরছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy