Advertisement
২৩ মে ২০২৪

দোকানের বারান্দায় জন্ম নিল যমজ কন্যা

সকালে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলেও কেউ তাঁর দিকে নজর দেয়নি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সকাল সাতটা নাগাদ প্রচণ্ড প্রসব যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন ওই মহিলা।

স্থানীয় এক মহিলার কোলে দুই সদ্যোজাত। নিজস্ব চিত্র

স্থানীয় এক মহিলার কোলে দুই সদ্যোজাত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৭ ০২:১৪
Share: Save:

সবে ভোরের আলো সবে ফুটেছে। রাস্তার ধারে দোকানের বারান্দায় প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক মহিলা। অবশ্য সে দিকে নজর না দিয়ে ট্রেন ধরার জন্য ছুটছেন সকলে। শেষমেশ কয়েক জন মহিলার তত্ত্বাবধানে সবিতা কর্মকার নামে হুগলির পাণ্ডুয়ার ওই প্রসূতি বারান্দাতেই যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের ঘটনা।

পুলিশ জানায়, চার বছরের ছেলে ও দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে শনিবার পাণ্ডুয়া স্টেশন থেকে বর্ধমান মেন লাইন লোকাল ধরেন বছর ৩২-এর ওই মহিলা। ট্রেনেই প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করায় শক্তিগড় স্টেশনে নামেন। তার পরে স্টেশনের অদূরে একটি দোকানঘরের বারান্দায় আশ্রয় নেন তিনি। সেখানেই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে রাত কাটে ওই মহিলার।

সকালে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলেও কেউ তাঁর দিকে নজর দেয়নি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সকাল সাতটা নাগাদ প্রচণ্ড প্রসব যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন ওই মহিলা। এর পরেই ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া বেগম, সুরাতন বিবিরা। তাঁদেরই তত্ত্বাবধানে যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই সবিতাদেবী।

এর পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মফিজুল হক, নূর আলমরা মা ও সদ্যোজাতদের এলাকারই দলীয় কার্যালয়ে রাখেন। পরে শক্তিগড় ফাঁড়ির পুলিশ এসে তাঁদের প্রথমে বড়শূল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মহিলা বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি। সদ্যোজাতদের রাখা হয়েছে এসএনসিইউ-তে। পুলিশের দাবি, সবিতাদেবী জানিয়েছেন, তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই মহিলা সুস্থ হলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে পরিবার এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য জানা হবে বলে পুলিশ জানায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE