নিয়ম অনুযায়ী যে পরীক্ষার ফল বেরোনো উচিত দেড় মাসের মধ্যে, তা বেরোতে চলেছে আট মাস পরে। সব ঠিক থাকলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের প্রথম সেমেস্টারের ফল প্রকাশ হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক আনন্দজ্যোতি পাল বলেন, ‘‘আশা করছি দশ দিনের মধ্যে প্রথম সেমেস্টারের ফল প্রকাশ করতে পারব।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারিতে প্রথম সেমেস্টারে স্নাতক স্তরের ৬৪টি কলেজের প্রায় ১ লক্ষ ৫২ হাজার পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন কলেজ ছাড়াও হুগলি ও বীরভূমের কলেজের পরীক্ষার্থীরা বারবার নির্দিষ্ট সময়ে ফল ঘোষণার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হয় জুলাইয়ে। প্রথম সেমেস্টারের ফল না জেনেই দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসে দেড় লক্ষের বেশি পড়ুয়ারা। প্রথম সেমেস্টারের ফল বেরোতে যেখানে আট মাসের উপর সময় লাগল, সেখানে দ্বিতীয় সেমেস্টারের ফল কবে বেরোবে, সে নিয়ে ইতিমধ্যে আশঙ্কায় পরীক্ষার্থীদের অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি নেতা অভিষেক নন্দীর কথায়, ‘‘প্রথম থেকেই যদি ফল দেরিতে প্রকাশ করা শুরু হয় তা হলে শেষ সেমেস্টারে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের হাল কী হবে, তা ভেবে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এসএফআই নেতা বিনোদ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘২০১১ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের কথা ভাবছে না। তা ভাবলে ঠিক সময়ে ও ঠিক ভাবে ফল প্রকাশ পড়ুয়াদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করত।’’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, জানুয়ারিতে পরীক্ষা শেষের পরে ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিটি কলেজ থেকে খাতা বিশ্ববিদ্যলয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের তত্ত্বাবধানে থাকা উত্তরপত্র বিভাগে (এপি) চলে আসা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তা এসেছে পরীক্ষা শেষের দু’মাস পরে। আরও দু’তিন মাস খাতা ওই বিভাগে পড়েছিল। তার পরে তা প্রধান পরীক্ষক থেকে বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষকের কাছে পৌঁছতে প্রায় ছ’মাস কেটে যায়।
এর মধ্যে যে বহুজাতিক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি তৈরি করে, তারা পাওনাগন্ডা না মেটালে কাজ করবে না বলে জানিয়ে দেয়। অথৈ জলে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষা নিয়ামক বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সেই সমস্যা মেটার পরেই আমরা প্রথমে আটকে থাকা পরীক্ষা নেওয়ার উপরে জোর দিয়েছিলাম। এ ছাড়া পরীক্ষকদের কাছে নম্বর-শিট পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সব জট কেটে গিয়েছে। আশা করছি, দশ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy