অস্বাভাবিক মৃত্যু হল মা-ছেলের। বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মেড়তলা পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামের মাঠপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের অনুমান, বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে ওই দু’জনের। যদিও নির্দিষ্ট কারণ জানা যায় নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজের খোঁজে বাড়ির কর্তা প্রফুল্ল মল্লিক দিন পনেরো আগে ব্যাঙ্গালুরু যান। তারপর থেকে ছেলে অভিকে (১১) নিয়ে একাই থাকতেন দিপু মল্লিক (২৭)। টানাটানি করেই সংসার চলত তাঁদের। তার মধ্যে মাস তিনেক আগে কাঠা তিনেক জমি কিনতে গিয়ে বাজারে বেশ কিছু ধারদেনাও হয়। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত বলে জানান পড়শিরা। তাঁদের দাবি, বুধবার সকালে রোজকার মতোই ভাত খেয়ে স্থানীয় মেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ে যায় অভি। পরে বেলা ১১টা নাগাদ শরীর জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের এক বাড়িতে ছুটে যান দিপুদেবী। ওই প্রতিবেশির দাবি, দিপুদেবী নিজেই জানান তিনি বিষ খেয়েছেন। তখনই স্কুল থেকে খবর আসে ক্লাসঘরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অভি। শরীরের জ্বালা-যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে যান এক শিক্ষক। এরপরেই গ্রামবাসীরা মা-ছেলেকে দু’জনকে নিয়ে কাছাকাছি বেলেরহল্টে এক চিকিৎসকের কাছে রওনা দেন। পথেই মারা যান দিপুদেবী। কোনওরকমে ওই চিকিৎসকে দেখিয়ে বাড়িতে আনা হয় অভিকে। তবে বাড়ি ফিরে সে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে স্থানীয়দের দাবি। তারপরেই মৃত্যু হয় তার। দিপুদেবীর এক আত্মীয় জগদীশ মণ্ডল জানান, অভিকে যখন বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় তখন সে অল্প অল্প কথা বলছিল। তখন সে বলে মা তাকে স্কুলে যাওয়ার আগে ভাত খাইয়ে ছিল।আমাদের ধারনা ভাতের থালাতেই বিষ মেশানো হয়েছিল। তবে আর কিছু বলতে পারেনি অভি। আর এক বাসিন্দা অপর্ণা মণ্ডল বলেন, ‘‘বসত বাড়ির জন্য কয়েক মাস আগে বাজার থেকে চড়া সুদে ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল ওরা। অভাব অনটনে সে টাকা শোধও করতে পারছিল না।’’
বৃহস্পতিবার দেহদুটির ময়না-তদন্ত হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকদের অনুমান, মা এবং ছেলের বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy