এই পোস্টারই চোখে পড়ে ভাতারে। —নিজস্ব চিত্র
বহিরাগত নন, বিধায়ক করা হোক কোনও ভূমিপুত্রকে। বিজেপি নেতৃত্বকে লাগাতার বহিরাগত বলে আক্রমণ শানানো তৃণমূলকে নিশানা করে এ বার পোস্টার পড়ল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। ২০১৬ সালে সেখানে বিধায়ক নির্বাচিত হন তৃণমূলের যুব নেতা সুভাষ মণ্ডল। তিনি আদতে আউশগ্রামের বাসিন্দা নন। ওই পোস্টারে তাঁকেই নিশানা করা হয়েছে বলে জল্পনা জেলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
সুভাষকে নিয়ে ভাতারে তৃণমূলের মধ্যেই মতভেদ রয়েছে। দুই প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা এবং সেখানকার প্রভাবশালী নেতা মানগোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গেও তাঁর বনিবনা নেই বলে শোনা যায়। তাই সোমবার সকালে ভাতারের বিভিন্ন জায়গায় উদয় হওয়া এই পোস্টারের পিছনে কার মাথা কাজ করছে, তা নিয়ে তাই নানা জল্পনা উঠে আসছে।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বনমালী বলেন, ‘‘কারও অসুবিধা হয়েছে হয়ত। তাঁরাই পোস্টার লাগিয়ে থাকতে পারেন। কারা এটা করেছে জানি না। তবে আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই পারেন রাজ্যের হৃত গৌরব ফিরয়ে আনতে পারেন। আমরা তৃণমূলকে জয়ী করতেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।’’
ভাতার এই মুহূর্তে তৃণমূলের দখলে থাকলেও, দুই বিরোধী দল বিজেপি এবং সিপিএমও সেখানে বেশ শক্তিশালী। এই পোস্টারের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। এমনকি এটা জোড়াফুল শিবিরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলেও জল্পনা উস্কে দেন তাঁরা। তবে সুভাষের বিরুদ্ধে রীতিমতো আক্রমণাত্মক শোনায় বিজেপি নেতা রাজকুমার হাজরাকে। তিনি বলেন, ‘‘এই সাড়ে ৯ বছরে কোনও কাজ হয়নি। শুধু দুর্নীতি হয়েছে। এখনকার যে বিধায়ক, তিনি একেবারেই সময় দেন না। এ সব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। ওদের ৪টি গোষ্ঠীর মধ্যে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বার রাজ্যের সর্বত্র বিজেপিই জিতবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy