Advertisement
১৬ জুন ২০২৪

বধূকে থেঁতলে ‘খুন’, ঘরে ঝুলন্ত দেহ যুবকের

কৃষিপণ্য পরিবহণের কাজ করা রামলালের বাড়ির কিছুটা দূরেই রাখীর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বছর পাঁচেকের ছেলের জন্য খিচুড়ি আনতে গিয়েছিলেন রাখী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মন্তেশ্বর ও বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০৪
Share: Save:

এক বধূকে থেঁতলে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে ‘প্রেমিক’, এমনই অভিযোগ উঠেছে মন্তেশ্বরের মধ্যমগ্রামের সিহি গ্রামে। বুধবার সকালের ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মৃত রামলাল হাঁসদা (৩৮) ও রাখী দেহরি (২৪), দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরকীয়ার জেরেই এই ঘটনা।

কৃষিপণ্য পরিবহণের কাজ করা রামলালের বাড়ির কিছুটা দূরেই রাখীর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বছর পাঁচেকের ছেলের জন্য খিচুড়ি আনতে গিয়েছিলেন রাখী। অভিযোগ ফিরতেই তাঁকে টেনে ঘরে নিয়ে যান রামলাল। পুলিশের দাবি, মৃতার ছেলে জানিয়েছে, রামলাল জেঠু মাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে খিল দিয়ে জোরে জোরে কথা বলে। ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। পড়শিদের দাবি, ওই ঘর থেকেই রাখীর থেঁতলানো ও রামলালের ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, রাখীর দেহের পাশে ইট পড়েছিল। অনুমান, তা দিয়েই থেঁতলে খুন করা হয়েছে তাঁকে।

ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না রাখীর স্বামী ষষ্ঠী দেহরি। পরে বর্ধমান মেডিক্যালে যান তিনি। তিনি দাবি করেন, ‘‘খবর পাই, রামলালের হামলায় স্ত্রী মারা গিয়েছেন। তবে কেন এই ঘটনা বলতে পারব না।’’ একই দাবি রামলালেল স্ত্রী ছবি হাঁসদার। তিনি বলেন, ‘‘ওর শরীর খারাপ ছিল। মঙ্গলবার ওষুধ এনে দিতে বলেছিল। হঠাৎ এমন কেন হল বুঝতে পারছি না।’’ পড়শিদের যদিও দাবি, দু’জনের পরকীয়া ছিল দীর্ঘ দিন ধরে। তার জেরেই এই ঘটনা। মন্তেশ্বর থানার দাবি, গ্রামে গিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার দুটি দেহের ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manteswar Sucide Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE