প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বর্ধমান রাজ কলেজের অ্যাকাউন্টেন্ট বুদ্ধদেব মণ্ডল।
সমাজবিদ্যা বিভাগের ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁর বিল বই হারিয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার বুদ্ধদেববাবুর ফোন পেয়ে বিল বই নিতে কলেজে আসেন তিনি। কিন্তু বিল বইটি দেওয়ার পরেই বুদ্ধদেববাবু তাঁর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সেখান থেকে বেরিয়ে ছাত্র সংসদে গিয়ে ঘটনার কথা জানান ওই ছাত্রী। সংসদের তিন পদাধিকারী শেখ সঞ্জয়, সায়ন সেন ও শেখ আজাহারউদ্দিন ঘটনার কথা জানতে পেরে সরাসরি বুদ্ধদেববাবুকে চেপে ধরেন। তাঁদের দাবি, বুদ্ধদেববাবু তখন ক্ষমাও চেয়ে নেন। পরে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তারকেশ্বর মণ্ডল বলেন, “আমার কাছে দুপুর দেড়টা নাগাদ এক ছাত্রী এসে প্রচন্ড কান্নাকাটি শুরু করে। আমার কাছে বুদ্ধবাবুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও করে সে। আমি বুদ্ধদেববাবুকে ডেকে পাঠাই। কয়েকজন শিক্ষককেও ডাকি। সকলের সামনেই মেয়েটি তাঁর শ্লীলতাহানির কথাা জানিয়েছে।”
পরে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে এই দাবি তুলে অধ্যক্ষকে প্রায় দেড় ঘন্টা ঘেরাও করে রাখে ছাত্রেরা। অধ্যক্ষ মিটমাটের চেষ্টা করলেও ছাত্রীটি রাজি হননি। ফলে পুলিশ ডেকে পাঠান অধ্যক্ষ।
বুদ্ধদেববাবুর অবশ্য দাবি, “আমি ওই ছাত্রীটিকে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। তার সঙ্গে কন্যার মতোই আচরণ করেছি। কেন ওই ছাত্রী আমার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছে জানিনা।” তাঁর দাবি, “আমি সিপিএম সমর্থক বামপন্থী কলেজ কর্মচারী সমিতির জেলা নেতা। তাই আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” তাঁকে অন্যায় ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে এই অভিযোগে কয়েকজন বামপন্থী কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী বর্ধমান থানায় সন্ধ্যায় বিক্ষোভও দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, শ্লীলতাহানীর মামলায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy