নিরাপত্তার দাবিতে ব্যবসায়ীদের মিছিল।—নিজস্ব চিত্র।
ভর সন্ধ্যায় দোকানের কর্মীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ডাকাতির ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জেলা পুলিশ কাটোয়া থানার ওসিকে বদলির নির্দেশ দিল। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, কাটোয়া থানার ওসি পীযূষ লায়েকের জায়গায় ওই থানার দায়িত্ব নেবেন ভাতার থানার ওসি জুলফিকার আলি।
এ দিকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ কয়েক জনকে আটক করলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গয়নার দোকানে লুঠপাট করার সময় সিসিটিভি ফুটেজে যে মুখগুলি দেখা গিয়েছে, তাঁরা স্থানীয় দুষ্কৃতী নয়। তবে তাদের সঙ্গে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের থাকতে পারে। ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কাটোয়া শহরে ব্যবসা বন্ধের ডাক দেয় কাটোয়া মহকুমা ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন, কাটোয়া মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি। এলাকায় নিয়মিত পুলিশি টহল-সহ একাধিক দাবি নিয়ে কাটোয়ার মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দলে থাকা শিশির ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “শহরে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। সন্ধ্যার পর দোকান খোলা রাখতে ভয় লাগছে।”
তিন ব্যবসায়ী সংগঠনের ডাকা এ দিনের ব্যবসা বন্ধের ফলে শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও নিরাপত্তার দাবিতে শহরের মধ্যে মিছিল করেন ব্যবসায়ীরা। মিছিল থেকে পুলিশের নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ করা হয়।
বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘সিসিটিভির ফুটেজ তদন্তে সাহায্য করবে। তবে ফুটেজে কী আছে সেটা আমরা তদন্তের স্বার্থে বলব না।”
এ দিন মহকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, গত দু-তিন বছর ধরে কাটোয়ায় ‘জঙ্গল-রাজ’ চলছে। শহরের উপকন্ঠে কেশিয়ার এক দুষ্কৃতী দলবল নিয়ে শহরে এসে নানা অসামাজিক কাজকর্ম করছে। ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ থাকলেও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। বছর দেড়েক আগে, এক আলু ব্যবসায়ীকে দোকানের ভিতর ঢুকে গুলি করে খুন করে দু্ষ্কৃতীরা। দিন কয়েক আগেই শাঁখারিপট্টি এলাকায় ভাড়াটে তোলার জন্য বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে দৃষ্কৃতী নিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে। ব্যবসায়ীদের দাবিগুলি শুনে কাটোয়ার মহকুমাশাসক মৃদুল হালদার বলেন, “পুলিশের সঙ্গে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করব। শহরের ভিতর পুলিশের টহল বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy