এ বারের রেল বাজেটে শিকে ছিঁড়ল না আসানসোল শিল্পাঞ্চলের। বিশেষত রেলের যে তিনটি কারখানা রয়েছে, তার শ্রমিক-কর্মীরা কিছুটা হতাশ রেলমন্ত্রীর ঘোষণায়। প্রত্যাশা পূরণ হয়নি সাধারণ মানুষেরও।
২০১০ সালে বার্নপুরের বার্নস্ট্যান্ডার্ড ওয়াগন কারখানাকে রেলের অধিগৃহীত সংস্থা হিসেবে ঘোষনা করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এরপরেও কারখানার সুদিন ফেরেনি। কাঁচা মালের অভাবে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। কারখানায় বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনও করছেন শ্রমিক-কর্মীরা। তাঁদের বেতনও হচ্ছে দেরিতে। তাঁদের অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল কারখানার পুনরুজ্জীবনের জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা থাকবে বাজেটে। কিন্তু দিনের শেষে তা পূরণ হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যীয় রেলমন্ত্রী থাকার সময় কুলটিতে সেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ওয়াগন তৈরির কারখানা হয়। কিন্তু সেখানে উৎপাদন শুরু তো দূর, কারখানার ছাউনি তৈরির কাজই শেষ হয়নি। শিল্পাঞ্চলবাসীর আশা ছিল, এই কারখানার ভবিষ্যত নিয়েও কিছু ঘোষণা থাকবে এ বারের রেল বাজেটে। কিন্তু সে গুড়েও বালি। চিত্তরঞ্জনের রেল ইঞ্জিন তৈরির কারখানার আধুনিকীকরণের জন্যও আর্থিক প্রকল্পের ঘোষণা আশা করেছিলেন শ্রমিক-কর্মীরা। কিন্তু তা নিয়েও কোনও কথা নেই বাজেটে।
আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশোগোপাল চৌধুরি বলেন, আশা ছিল রেল বাজেটে শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলি নিয়ে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য থাকবে। কিন্তু সে সবের কোনও কথা না থাকায় শ্রমিক-কর্মীরা হতাশ।” আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সুব্রত দত্তেরও দাবি, রেলের সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা হলে কারখানার উৎপাদনে ধারাবাহিকতা থাকত। শিল্পাঞ্চলের আর্থিক পরিকাঠামো শক্ত হতো।
তবে রেল বাজেটে আলাদা করে আসানসোলের জন্য কোনও ঘোষণা না থাকলেও শিল্পাঞ্চলের উন্নয়নে ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রক একাধিক প্রকল্প নিয়েছে বলে রেলের এক আধিকারিকের দাবি। যেমন, আসানসোলে সম্প্রতি একটি রেল ইয়ার্ড চালু হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার শিল্প কারখানার পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধার জন্য বরাচকে তৈরি হওয়া ওই রেল ইয়ার্ডটির কাজ শুরু হয়েছে পুরোমাত্রায়। নতুন ফ্রেট করিডরের কাজও চলছে পুরোদমে। এ ছাড়া আসানসোল রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy