চলছে পরীক্ষা। —নিজস্ব চিত্র।
শ্যালো পাম্প বসানোর গর্ত থেকে বিস্ফোরণ হল সোমবারও। বিকেল ৩টে নাগাদ পূর্বস্থলীর হৃষি গ্রামে এলাকারই এক যুবক ওই গর্তের মুখে আগুন জ্বেলে দেয়। তার ফলেই বিস্ফোরণ হয়। রবিবারের মতো এ দিনও প্রায় বিস্ফোরণে গর্তের ভেতর থেকে বালি, কাদা প্রায় ২৩ ফুট উঁচু হয়ে ওঠে।
এ দিন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিকেল ৪টে নাগাদ গ্রামে পৌঁছয়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। ওই দলে ছিলেন দু’জন জিওলজিস্ট দেবব্রত চৌধুরী ও তরুণকান্তি সরকার এবং দুই কেমিস্ট ডি কে ঘোষ ও এ কে পণ্ডিত। তাঁরা ওই গর্তের মধ্যে পাইপের এক প্রান্ত ঢুকিয়ে আরেক প্রান্ত এক বালতি জলে রাখেন। দেখা যায়, জল ফুটতে শুরু করেছে। কয়েকটি কাঁচের শিশিতে গ্যাসের নমুনাও সংগ্রহ করেন তাঁরা।
পরে ওই পাম্পের মালিক বিক্রম দাসের সঙ্গে কথা বলেন ওই সদস্যেরা। বিক্রমবাবু জানান, দিন কয়েক আগে নিজের জমিতেই শ্যালো পাম্পটি বসান তিনি। কিন্তু জল না বেরোনোয় রবিবার পাইপ তুলে ফেলার কাজ করছিলেন কয়েকজন মিস্ত্রি। তখনই গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধ পান তাঁরা। একাধিকবার বিস্ফোরণও হয়। এলাকার বাসিন্দা কাকলী মজুমদার বলেন, “বছর খানেক আগেও এই এলাকায় ভূগর্ভে তেল আছে কি না তা পরীক্ষা করতে এক দল এসেছিল। তবে তারপরে আর কিছু হয়নি।” এ দিন ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার ও পূর্বস্থলীর আইসি অতনু মণ্ডল। তাদের কাছে জায়গাটা আপাতত ঘিরে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। পরে পূর্বস্থলী থানায় একটি বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই। ফলে গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ারও কারণ নেই।” বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যেরা জানান, কতটা এলাকা জুড়ে গ্যাস ছড়িয়ে রয়েছে তা দেখা হবে। রিপোর্টটি থানায় ইমেল করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy