মাইথন যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় নয়ানজুলিতে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হল তিন জনের। বর্ধমানের বেচারহাটে জি টি রোড বাইপাসে এই দুর্ঘটনায় জখম হন ছ’জন। সকলেরই বাড়ি কলকাতায়। বড় গাড়িতে চড়ে তাঁরা রবিবার কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন।
বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, এ দিন দুপুরে দ্রুত গতিতে যাওয়া সাদা রঙের গাড়িটি ডিভাইডার টপকে উল্টো দিকের লেনে ঢুকে যায়। তখন একটি ট্রাক এসে ধাক্কা মারে। মৃত্যু হয় অমিত মুখোপাধ্যায় (৫০), সুমিত্রা দাস (৬৫) ও গার্গী দাসরায়ের (৫০)। আহত হন অমিতবাবুর স্ত্রী মৈত্রেয়ী মুখোপাধ্যায়, তাঁদের দুই মেয়ে সোহিনী ও সাহানা, গার্গীদেবীর স্বামী দেবাশিস রায় ও তাঁদের মেয়ে পৃথা এবং গাড়ির চালক রাকেশ পাসোয়ান।
অমিতবাবু রবীন্দ্রভারতীর ফিনান্স অফিসার। বাড়ি মানিকতলায়। সল্টলেকের বাসিন্দা গার্গীদেবী তাঁদের আত্মীয়। গার্গীদেবী ও তাঁর স্বামী দেবাশিসবাবু পেশায় চিকিৎসক। দু’টি পরিবার একসঙ্গে বেরিয়েছিল।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমানে পৌঁছন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরী। তিনি জানান, সোহিনী ও দেবাশিসবাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানের ওই বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট বিকাশ দেববর্মণ জানান, মৈত্রেয়ীদেবী ও রাকেশের শিরদাঁড়ায় চোট রয়েছে। সাহানা ও পৃথা মাথায় আঘাত পেয়েছে। তবে সকলেই স্থিতিশীল। পরিজনেরা কলকাতায় চিকিৎসা করাতে চাওয়ায় তাঁদেরও রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সব্যসাচীবাবু জানান, সন্ধ্যায় মৃতদেহের ময়না-তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। রাতে বৌবাজারের শব সংরক্ষণাগারে রাখা হবে দেহগুলি। সোমবার অন্ত্যেষ্টির ব্যবস্থা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy