রক্তিম মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেলেও মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে স্থান না পাওয়ায় বাড়ির লোকেদের হতাশা ছিল। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল ঘোষণার পরে সেই হতাশা কেটে গিয়েছে। কাটোয়ার রক্তিম মুখোপাধ্যায় মেডিক্যালে কুড়িতম স্থান পেয়েছে। এ বছরই শহরের কাশীরাম দাস বিদ্যায়তন থেকে ৪৬২ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে রক্তিম।
শহরের ঘুটকিয়া পাড়ার বাঘাযতীন কলোনির বাড়িতে বসে রক্তিম বলে, “কোনও দিন র্যাঙ্ক নিয়ে ভাবতাম না। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করলেও রাজ্যের মধ্যে স্থান না পাওয়ায় আমার বাবা-মা হতাশ ছিলেন। তবে আজ তাঁরা খুশি।” ছেলের পাশে বসে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার আলুগ্রামের উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক পীযূষবাবু বলেন, “হতাশা একটু ছিল। তবে রক্তিম বারবার বলত, জয়েন্টে কিছু একটা হবই। সেটা ও দেখিয়ে দিয়েছে।” রক্তিমদের আদিবাড়ি ওই আলুগ্রামেই। ২০০০ সালের পরে তাঁরা কাটোয়ায় চলে আসেন। কয়েক বছর সার্কাস ময়দানের বিদ্যাসাগর পল্লিতে ভাড়া থাকতেন। বছর দেড়েক আগে বাঘাযতীন পল্লিতে বাড়ি করে চলে আসেন। রক্তিম বলে, “বাবা-মায়ের সঙ্গে আমারও ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া।” রক্তিমের মা নিবেদিতাদেবী বলেন, “শুধুমাত্র টাকা রোজগারের জন্য চিকিৎসক না হয়ে আমরা চাই রক্তিম গবেষণার পথ বেছে নিক।” ছেলেও বাবা-মায়ের কথা মতো ভবিষ্যতে ক্যানসার অথবা মস্তিস্কের দুরারোগ্য ব্যাধি নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী। পড়াশুনোর বাইরে প্রতিদিন ঘড়ি ধরে তিন ঘন্টা পুজোপাঠও করত সে। আগ্রহ রয়েছে সাহিত্যেও। পীযূষবাবু বলেন, “এইমসে গত রবিবার পরীক্ষা দিয়েছে ছেলে। সুযোগ পেলে সেখানেই পড়বে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy