Advertisement
১৮ মে ২০২৪
চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

সভাপতির অপসারণের দাবি

স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অথচ এমন ব্যক্তিকেই ওই একই বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি করা নিয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভ ছড়ালো বুদবুদের কসবা গ্রামের রাধারাণি বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে। অবিলম্বে নব নিযুক্ত সভাপতি তথা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন ঘোষকে সভাপতির পদ থেকে সরানোর দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন এলাকার তৃণমূল কর্মী ও অভিভাবকেদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বুদবুদ শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১৫
Share: Save:

স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অথচ এমন ব্যক্তিকেই ওই একই বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি করা নিয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভ ছড়ালো বুদবুদের কসবা গ্রামের রাধারাণি বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে। অবিলম্বে নব নিযুক্ত সভাপতি তথা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন ঘোষকে সভাপতির পদ থেকে সরানোর দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন এলাকার তৃণমূল কর্মী ও অভিভাবকেদের একাংশ।

চাকতেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা স্বপনবাবু সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। তিনি কসবার ওই স্কুলটিরই প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকও বটে। অভিভাবক ও তৃণমূলের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন স্বপনবাবুর বিরুদ্ধে স্কুলের অডিট না করানোর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, টিচার ইন চার্জ নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বপনবাবু পক্ষপাতিত্ব করেন বলে অভিযোগ। স্কুলে শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ স্বপনবাবু নেননি বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ। গলসী ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা এলাকার বাসিন্দা প্রদ্যুত্‌ কোলের অভিযোগ, “স্কুলে ১২০০ পড়ুয়া থাকলেও শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১২ জন। স্বপনবাবু প্রদান শিক্ষক থাকাকালীন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা নেননি। এর জেরে স্কুলের পড়াশোনাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।” অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, স্বপনবাবু প্রধানশিক্ষক থাকাকালীন সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় যে ভবনটি নির্মাণ করা হয় সেটিতেও ফাটল ধরেছে।

মঙ্গলবার স্বপনবাবুর স্কুলের পরিচালন সভাপতির পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে খবর চাউর হতেই এলাকার বেশকিছু তৃণমূল কর্মী এবং অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রদ্যুত্‌বাবু বলেন, “আমরা ওই দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তিকে স্কুলে যোগ দিতে দেব না। তাই আমরা স্কুলের বাইরে এলাকাবাসীদের সঙ্গে জমায়েত করি।” তপন রায়গুপ্ত, সোনালী গুপ্ত, নরেন্দ্র বাগদীদের মতো অভিভাকেদের দাবি,“আমাদের এলাকায় আরও অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি আছেন। সে রকম কাউকেই সভাপতির পদের দায়িত্ব দেওয়া হোক।” যদিও এ দিন স্বপনবাবু স্কুলে আসেননি।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্বপনবাবু বলেন, “আমাকে সরকার থেকে নির্বাচন করা হয়েছে। আমি অসুস্থ বলে এদিন যেতে পারিনি। সুস্থ হলে আলোচনা করে ওই পদে যোগ দেব কি না সিদ্ধান্ত নেব।” স্বপনবাবুর আরও দাবি, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাঁকে এদিন যোগ দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠান। ওই পদে যোগ দেওয়ার কোনও ব্যক্তিগত ইচ্ছা তাঁর নেই।

যদিও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থসারথী মণ্ডল বলেন, “অভিভাবকরা আমাকে তাঁদের দাবি জানিয়েছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টিই জানিয়েছি।”

মারধর ও হুমকি, অভিযোগ: একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরে অভিযোগ করল বিজেপি ও তৃণমূল। জামুড়িয়ার তপসী এলাকার ঘটনা। অন্য দিকে গত শনিবার তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে হামলার পর ভয়ে দোকান খুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন পান্ডবেশ্বরের হরিপুর হাটতলার গয়না ব্যবসায়ী অবধেশ সোনি।বিজেপি-র অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি উত্তম বাউড়ি কেন্দা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি মনোনজয় চট্টোপাধায় সদলবলে হামলা চালায়। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও মনোনজয়বাবু হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যদিও কেন্দা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে মনোনজয়বাবুর দাবি, “উত্তমবাবুই আমাকে মারধর করেছেন।” অন্যদিকে অবধেশবাবুর দাবি, তিনি কোনও দিন বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁর এক প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের পারিবরাক বিবাদ রয়েছে। ওই প্রতিবেশীর হয়ে তৃণমূল নেতা মন্টু সাউ হামলা চালায়। অবধেশবাবু বলেন, “মন্টু আমাকে বলে মারধরের অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে দোকান খুলতে দেবে না।” মন্টুবাবু খুনের হুমকি দেন বলেও অবধেশবাবুর অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

budbud radharani bidyamandir secretary
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE