বসিরহাটের সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। —ফাইল চিত্র ।
ইন্ধন না জুগিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা উচিত। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে তেমনটাই জানালেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। উল্লেখ্য, সন্দেশখালি নুসরতের লোকসভা কেন্দ্র বসিরহাটেরই অন্তর্গত। নুসরত জানিয়েছেন, বসিরহাটের সাংসদ হওয়ার সুবাদে তিনি সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি অভিনেত্রী-সাংসদ আরও জানিয়েছেন, সন্দেশখালিতে যা ঘটছে, তা নিয়ে উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত মানুষের। অন্য কেউ যদি উস্কানি দেন, তাঁকেও আটকানো উচিত।
সম্প্রতি আবার উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। গত বুধবার থেকে দফায় দফায় সেখানে অশান্তি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন এলাকার মহিলারা। তবে সেই নিয়ে প্রথম কয়েক দিন কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি নুসরতকে। সোমবার এই নিয়ে প্রথম বার মন্তব্য করেন তিনি।
নুসরত বলেন, “এই সংকটময় পরিস্থতিতে উস্কানি দেওয়া বা অন্যদের উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত রেখে ঐক্যবদ্ধ প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। রাজ্য সরকার অক্লান্তভাবে স্থানীয়দের সাহায্য করছে এবং একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আমার কাজ আগুন নেভানো, ইন্ধন জোগানো নয়। আসুন সকলে মিলে প্রশাসনকে সহযোগিতা করি এবং দায়িত্ব পালন করতে দিই।”
জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে সন্দেশখালি পৌঁছেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে, তাঁর বাহিনীর হাতে মারধর খেতে হয় ইডি অফিসারদের। তা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। ক্রমে তা আলোড়িত করেছিল জাতীয় রাজনীতিকেও। যেমনটা বুধবার থেকে শুরু হওয়া অশান্তির ঘটনাতেও ঘটেছে। তবে ইডি অফিসারদের মারধরের ঘটনার সময় সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি নুসরতকে। নুসরত কোথাও কোনও প্রশ্নের জবাবে বা স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও কোনও মন্তব্য করেননি বা বিবৃতি দেননি। সেই সময় নিজের ছবির প্রচার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এই প্রথম সন্দেশখালিতে হওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy