বন্ধ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনের রাস্তা। অসুবিধেয় সাধারণ মানুষ। ছবি: রণজিৎ নন্দী
শান্তি চাইছে সরোজিনী নায়ডু সরণি! তা না হলে ওঁদের রুটি-রুজিতে টান পড়ছে। ওঁরা— সুজাতা দাস, অনিতা দাস কাজ করেন সরোজিনী নায়ডু সরণির পেট্রল পাম্পে। পেট্রল পাম্পটি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের ঠিক উল্টোদিকে।
পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তিকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন বিক্ষোভে সরগরম হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফতরের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বুধবারও দিনভর তা ছিল। তৈরি করা হয়েছে গার্ডরেলের চারটি বেষ্টনীও। কমিশনের দফতরে এ হেন নিরাপত্তার জেরে রাস্তায় কোনও ক্রমে ‘কৈফিয়ত’ দিয়ে হাঁটাচলা করা গেলেও গাড়ি ঢোকার উপায় নেই। ফলে পেট্রল পাম্পে তেল জমতে থাকলেও তা বিক্রির উপায় নেই। অবশ্য পাম্প চত্বরে পুলিশের গাড়ি রাখা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই পাম্পে চার জনই মহিলা কর্মী। সুজাতার বক্তব্য, ‘‘এমনিতেই গত কয়েক দিন ধরে গোলমালের কারণে পাম্পে পেট্রল-ডিজেল নেওয়ার জন্য গাড়িই আসছে না। আর গত দু’দিন তো এখানে গাড়ি ঢুকতে পারছে না। ফলে রোজই কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে।’’
কমিশনের অদূরে একটি ক্লিনিক রয়েছে। সেখানে চিকিৎসক থাকেন, বিভিন্ন রকম পরীক্ষানিরীক্ষা হয়। রোগীদের আনার জন্য প্রায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ক্লিনিকের কর্মীরা। কারণ, নিরাপত্তা বেষ্টনীর ফলে ক্লিনিকে ঢুকতে পারছেন না অনেকে। কমিশন লাগোয়া দোকান দু’দিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সরোজিনী নায়ডু সরণি লাগোয়া ফ্ল্যাটে ঢুকতেও গেলে পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দার বক্তব্য, ‘‘নিজের বাড়িতে ঢোকার জন্য জবাবদিহি করতে হলে কেমন লাগে!’’ আর কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, দফতরের সামনে কমিশনের তরফে নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy