নেতাদের বিবাদ মেটেনি। তাই উত্তর দিনাজপুরের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দলের প্রতীক পাননি তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই। তাঁরা সকলে নির্দল হয়েই দাঁড়িয়েছেন। দলের পোস্টার, ব্যানার নিয়ে প্রচারও করছেন। ভোটাররা তাই অবাক। তাঁদের এক জনের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলকেই সমর্থন করি। কিন্তু একই আসনের দুই প্রার্থীই তৃণমূলের পোস্টার নিয়ে প্রচার করছেন। কাকে ছেড়ে কাকে বাছব?’’
আসলে তাঁকে বাছতে হবে দলের দুই বিধায়কের এক জনকে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রভাব রয়েছে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান এবং ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবালের। দু’জনেরই এমন প্রতাপ যে, গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ জন এবং পঞ্চায়েত সমিতির তিন জন প্রার্থীর ক্ষেত্রে তৃণমূল কোনও এক জন করে প্রার্থীকে বেছে নিয়ে দলের প্রতীক দিতে পারেনি।
প্রার্থীদের অনেকের দাবি, যিনি জিতবেন, তিনিই তৃণমূলের স্বীকৃতি পাবেন। তাই লড়াইয়ে কেউ জমি ছাড়ছেন না। তাই দু’পক্ষই অকাতরে তৃণমূলের প্রতীক আঁকা এবং নেতানেত্রীদের নাম লেখা পোস্টার-ব্যানারও ব্যবহার করছেন। আর সেখানেই ভোটারকে চিনে নিতে হচ্ছে, কে কোন পক্ষের। যাঁরা হামিদুল ঘনিষ্ঠ, তাঁরা পোস্টার-ব্যানারে সরাসরি তাঁর নাম লিখে দিচ্ছেন। আর কানাইয়ালালের ঘনিষ্ঠরা শুধু দলনেত্রীর ছবিই ব্যবহার করছেন। তবে তাঁরা অনেক পোস্টার-ব্যানার করতেও দিয়েছেন। সেগুলো এলে বোঝা যাবে, তাঁরা কী ভাবে নিজেদের পরিচয় দিতে চাইছেন। এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নুরউদ্দিন কানাইয়ালালের কাছের লোক বলে পরিচিত। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতীক যাই হোক না কেন, আমরা তৃণমূল সমর্থিত নির্দল। ব্যানার-পোস্টারে দলনেত্রীর ছবি থাকবে। তাই কারও বুঝতে অসুবিধা হবে না।’’ হামিদুল অনুগামী বলে পরিচিত মাসিউর রহমানের স্ত্রী ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তিনিও ব্যানার পোস্টারে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন তৃণমূল সমর্থিত ও হামিদুল রহমানের নির্বাচিত নির্দল প্রার্থী বলে। তবে এই এলাকার জেলা পরিষদের প্রার্থীর প্রচারে দুই বিধায়কের দ্বন্দ্বের ছায়া পড়েনি। প্রার্থী হামিদুলেরই মেয়ে আরজুনা বেগম। কানাইয়ালাল বলেছেন, ‘‘জেলা পরিষদের প্রার্থীর জন্য দলের সবাই প্রচার করবেন। তবে ওই এলাকার অন্য প্রার্থীরা নিজেরাই নিজেদের প্রচার করছেন।’’ হামিদুলের বক্তব্য, ‘‘জেলা পরিষদ বাদ দিয়ে বাকি আসনগুলোতেও দুই পক্ষেই দলের প্রার্থী। দলের হয়ে প্রচার চলছে। লোক যাকে উপযুক্ত মনে করবেন, তিনিই জিতবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy