Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Somnath Chatterjee

এর পর আমাদের সবাইকে কেঁদে ভাসাতে হবে, বিদ্বজ্জনদের পাশে নিয়ে বললেন সোমনাথ

সোমনাথবাবু ছাড়াও ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, অভিনেতা বাদশা মৈত্র, কবি মন্দাক্রান্তা, আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ০১:৩২
Share: Save:

ফের সরব হলেন বিদ্বজ্জনদের একাংশ। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে মধ্যমণি হয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টাও করলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে হিংসা এবং শঙ্খ ঘোষ সম্পর্কে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রুদ্রপ্রসাদ থেকে কৌশিক সেন, বাদশা মৈত্র থেকে মন্দাক্রান্তা।

বুধবার বিকেলে সেভ ডেমোক্রেসির তরফ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়। লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনটি আয়োজিত হয়। সোমনাথবাবু ছাড়াও ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, অভিনেতা বাদশা মৈত্র, কবি মন্দাক্রান্তা, আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

মনোনয়ন পর্ব থেকে যে হিংসা দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে, তা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার মুখ খুলেছেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করা হয়েছে বলে সোমনাথবাবু এ দিনও মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে মন্তব্য করেছেন, সে প্রসঙ্গ টেনে সোমনাথবাবু বুধবার বলেন, ‘‘ভোটের দিন এমন হিংসা দেখা গেল যে দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও তা নিয়ে মুখ খুলতে হল।’’ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘ভোটের দিন এতগুলো লোক খুন হলেন। কিন্তু, মানুষ জেগে উঠছে কোথায়? সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুধু নয়, এ বার প্রতিরোধ করতে হবে। লোকসভার প্রাক্তন স্পিকারের কথায়, ‘‘রাজনীতিটা এ বার পরিষ্কার করা উচিত। না হলে এমন অবস্থা হবে যে, আমাদের সবাইকে কেঁদে ভাসাতে হবে।’’

সাংবাদিক সম্মেলনে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, বাদশা মৈত্ররা। নিজস্ব চিত্র।

কবি শঙ্খ ঘোষ সম্পর্কে বীরভূম জেলার তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যা বলেছেন, সাংবাদিক সম্মেলনে এ দিন কবি মন্দাক্রান্তা তাঁর তীব্র নিন্দা করেন। মন্দাক্রান্তা বলেন, ‘‘উন্নয়ন কিন্তু আর রাস্তায় নেই, উন্নয়ন ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে।’’

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, বাদশা মৈত্ররাও শঙ্খ ঘোষ সম্পর্কে অনুব্রতর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। রুদ্রপ্রসাদ বলেন, ‘‘অনুব্রত কী বললেন, সে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তার চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল এ বিষয়ে তাঁর দলনেত্রীর নীরবতা।’’ কৌশিক সেন বলেন, ভোট গ্রহণের দিনে যে হিংসা দেখা গিয়েছে তা ভয়াবহ। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদী গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেছেন, এও তার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। বাদশা মৈত্র বলেন, বাংলায় গণতন্ত্রের সামনে যে বিপদ তৈরি হয়েছে, তা প্রতিরোধের জন্য যদি ঐক্যের প্রয়াস হয়, তা হলে অবশ্যই তিনি তাতে সামিল হবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE