প্রতীকী ছবি।
দলের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রচারে বেরোচ্ছেন দিনে। কিন্তু রাতে বৈঠক করছেন নিজের ঘনিষ্ঠ নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে— এই অভিযোগে কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল নেতা। শনিবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় এ নিয়ে অশান্তি বাধে। বোমাবাজিও হয়। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
জামুড়িয়ার ডোবরানা পঞ্চায়েতে সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতছে তৃণমূল। বাকি দু’টি আসনের একটিতে দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে লড়ছেন তৃণমূলের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য সুরেশ পাণ্ডা। এ বার তাঁর বদলে টিকিট পেয়েছেন তৃণমূলের ডোবরানা অঞ্চল সভাপতি বুধন গড়াই।
বুধনবাবুর দাবি, কর্মীদের অনেকে সন্দেহ করছিলেন, সুরেশবাবুর ‘গোঁজ’ প্রার্থী হওয়ার পিছনে এলাকায় দলের পুরনো নেতা গোপীনাথ পাত্রের ইন্ধন রয়েছে। তবে তিনি দিনে তৃণমূল প্রার্থীদের সঙ্গে প্রচারে বেরোচ্ছিলেন। কিন্তু শনিবার রাত ৯টা নাগাদ দলের কিছু কর্মী সুরেশবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখেন, সেখানে গোপীনাথবাবু বৈঠক করছেন। রয়েছেন দলের আর এক কর্মী। দু’পক্ষে গোলমাল বেধে যায়।
অভিযোগ, গোপীনাথবাবুকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। বোমা ছোড়া হয় সুরেশবাবুর বাড়ির দেওয়ালে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে। পুলিশ জানায়, গোপীনাথবাবু-সহ তিন জনকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার খাতিরে রাতে থানায় রাখা হয়। রবিবার তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গোপীনাথবাবুকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে সুরেশবাবুর বক্তব্য, ‘‘মনোনয়ন জমা দিলেও ভোটে লড়ব না বলে দলকে জানিয়েছিলাম। তার পরেও গোলমাল পাকানো হল।’’
জামুড়িয়া ব্লকে পঞ্চায়েতের ৯৩টি আসনে ৬৫ জন ‘গোঁজ’ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। পরে অধিকাংশই প্রত্যাহার করলেও ১১ জন রয়ে গিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘নিষেধ সত্ত্বেও দলের যাঁরা নির্দল হিসেবে লড়ছেন এবং যাঁরা তাতে মদত দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy