Advertisement
১৮ মে ২০২৪

পরীক্ষা দিতে জার্মানিতে পাড়ি বাংলার জয়ীর

প্রাথমিক খবর, জার্মানির কর্তাদের জয়ীর স্বাস্থ্য-ওজন-সহনক্ষমতা দেখে বেশ পছন্দ হয়েছে। দরদাম-সহ অন্যান্য শর্ত পূর্ণ করতে পারলে সে দেশে পাকাপাকিভাবে পাড়ি দেবে জয়ী। সম্প্রতি কলকাতার চিনা দূতাবাসের আধিকারিকদেরও জয়ীকে দেখে বেশ পছন্দ হয়। জয়ীকে তাঁরাও ঘরে নিয়ে গিয়েছেন।

জয়ী ব্র্যান্ডের ফুটবল।

জয়ী ব্র্যান্ডের ফুটবল।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৮ ০৩:২৮
Share: Save:

পরীক্ষা দিতে বাংলার জয়ী গিয়েছে জার্মানি। কড়া সেই পরীক্ষায় পাশ করলে সে দেশে জয়ীকে পায়ে-পায়ে দৌড়তে দেখা যাবে।

প্রাথমিক খবর, জার্মানির কর্তাদের জয়ীর স্বাস্থ্য-ওজন-সহনক্ষমতা দেখে বেশ পছন্দ হয়েছে। দরদাম-সহ অন্যান্য শর্ত পূর্ণ করতে পারলে সে দেশে পাকাপাকিভাবে পাড়ি দেবে জয়ী। সম্প্রতি কলকাতার চিনা দূতাবাসের আধিকারিকদেরও জয়ীকে দেখে বেশ পছন্দ হয়। জয়ীকে তাঁরাও ঘরে নিয়ে গিয়েছেন।

জয়ী বাংলার মেয়েদের তৈরি ফুটবল। নামটা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকেশ্বরের ভীমপুর, হুগলির চন্দননগর, হাওড়ার রামরাজাতলা-সহ আরও বেশ কয়েকটি জেলার মেয়েদের নিয়ে ছ’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে এই ফুটবল তৈরি করাচ্ছেন মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, কম্পটন দত্তের মতো বাংলারই একসময়ের সেরা ফুটবলারেরা। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের অধীনস্থ সংস্থা রিফিউজি হ্যান্ডিক্র্যাফ্টস-এর তত্ত্বাবধানে জয়ী ব্র্যান্ডে বিভিন্ন মানের বল তৈরি হচ্ছে। এই জয়ীই গিয়েছে জার্মানিতে।

রিফিউজি হ্যান্ডিক্র্যাফ্টস-এর চেয়ারম্যান মানস বলেন, ‘‘জয়ী ব্র্যান্ডের ‘চ্যালেঞ্জার’ ও ‘ড্রিবল’ নামে যে বল বাংলার মেয়েরা তৈরি করছে, সেগুলিই জার্মানিতে পাঠানো হয়েছে। ও দেশের ছোটরা যে ধরনের পিউ বলে অনুশীলন করে, তার নমুনা আমরা জানতাম। সেইমতো উৎকৃষ্ট মানের সেলাই, ওজন ও আয়তন অনুযায়ী বল তৈরি করে পাঠিয়েছি।’’ মানসবাবুর দাবি, প্রাথমিক পরীক্ষায় চ্যালেঞ্জার ও ড্রিবল পাশ করে গিয়েছে। এর পর আরও অনেকগুলি ধাপ রয়েছে। সেগুলি উতরে গেলে বাংলায় তৈরি ফুটবল জার্মানিতে পাঠানো হবে।

সূত্রের খবর, জার্মানির ছোটদের অনুশীলনের জন্য বল আসে দক্ষিণ কোরিয়া ও পাকিস্তান থেকে। একটি বৃহৎ বেসরকারি সংস্থা সেই ফুটবল সরবরাহ করে সারা দেশে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বলের দাম ইদানীং বেশ চড়া হওয়ায়, বিকল্প পিউ বলের সন্ধান করছে তারা। রাজ্যের এক শিল্পকর্তার যোগসূত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সঙ্গে কথা শুরু হয় ওই জার্মান সংস্থার। সংস্থাটি রিফিউজি হ্যান্ডিক্র্যাফ্টস-কে জানিয়েছে, বলের মান দেখে তারা সন্তুষ্ট। এখন সেই বলে খেলানো হবে জার্মানির বিভিন্ন মাঠে। সেখানে পাশ করলে বল নিতে তাদের সমস্যা থাকবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE