সম্প্রতি ভাঙড়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে যান, জমি আন্দোলনকারীরা চাইলে তিনি আলোচনায় বসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েই আজ, শনিবার মাছিভাঙা, খামারআইট, পদ্মপুকুর-সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের আন্দোলনকারীরা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহের সঙ্গে দেখা করেন।
জনা দশেক আন্দোলনকারীকে নিয়ে সুপারের কাছে আসেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। কিছু দিন আগে কাইজারের নেতৃত্বে কয়েকজন আন্দোলনকারী থানায় আত্মসমর্পণও করেছিলেন। কাইজারের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বেও এর আগে আত্মসমর্পণ করেন কয়েকজন। তাতে আন্দোলনে ভাঙন ধরানো যাবে না বলে সে সময়ে দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারীদের একাংশ।
এ দিন কাইজার ছাড়াও রাজারহাটের কংগ্রেস নেতা শেখ নিজামউদ্দিনের নেতৃত্বে সতেরো জন পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেছেন। কিছু প্রস্তাবও রেখেছেন তাঁরা। যেমন, পাওয়ার গ্রিড হলে এলাকার মানুষের কোনও ক্ষতি হবে না বলে পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে নির্দিষ্ট করে জানানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। গ্রিডের তার যে জমির উপর দিয়ে যাবে, সেই সব জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
পাশাপাশি গ্রামে পুলিশ ঢুকলে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে আরাবুল-বাহিনী যাতে সন্ত্রাস না চালাতে পারে, তা নিশ্চিত করারও দাবি আছে তাঁদের। আরাবুলকে গ্রেফতার করা হোক, তা-ও চান আন্দোলনকারীরা। পুলিশ সুপার দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
অরিজিৎবাবু বলেন, ‘‘অনেকে আন্দোলন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। এ দিন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের দেওয়া প্রস্তাব আমি সরকার ও প্রশাসনের উপরমহলে জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy