ভারতী ঘোষ
আইনি লড়াই চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে হুলিয়াও। কিন্তু তিনি কোথায়?
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের আইনজীবী অপূর্ব চক্রবর্তী দাবি করলেন, তাঁর মক্কেল লুকিয়ে নেই। নিরুদ্দেশও নন।
মঙ্গলবার ছিল দাসপুরের সোনা প্রতারণা মামলার শুনানির দিন। সেই সূত্রেই এ দিন মেদিনীপুরে আসেন ভারতীর স্বামী এমএভি রাজু। মেদিনীপুর আদালতে হাজিরা দেন তিনি। পরে রাজুকে পাশে বসিয়ে অপূর্ব বলেন, “ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে হুলিয়া জারি করা হয়েছে। হুলিয়া তাঁরই বিরুদ্ধে জারি করা হয় যিনি নিরুদ্দেশ। যিনি বিচার বিভাগকে অবজ্ঞা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু ভারতী ঘোষ তো তা করছেন না।” ভারতীর আইনজীবীর প্রশ্ন, তাঁর মক্কেল সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে লড়াই করছেন। তাঁর আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশও দিচ্ছে, সে ক্ষেত্রে ভারতীকে নিরুদ্দেশ বলা যায় কি? এ প্রসঙ্গে সিআইডির এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এটি সম্পূর্ণ বিচারাধীন বিষয়। আইনজীবী তাঁর বক্তব্য বলতেই পারেন। কিন্তু গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। তিনি (ভারতী) যদি নিরুদ্দেশ না হন, তা হলে আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন না কেন?’’
ভারতীর আইনজীবী অবশ্য এ দিন দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট যখন নির্দেশ দিচ্ছে, তখন নিম্ন আদালতে এই হুলিয়া চলতে পারে না। অপূর্বের কথায়, ‘‘মেদিনীপুর আদালতে হুলিয়া প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। আজ, বুধবার তার শুনানি হওয়ার কথা।’’ ভারতী ঘোষ লুকিয়ে নেই? অপূর্ব বলেন, “ভারতী ঘোষ লুকিয়ে থাকার মতো নন। ওঁর মেদিনীপুরে আসার খুব ইচ্ছে। উনি তো দুর্নীতি করেননি।” তাহলে আসছেন না কেন? প্রকাশ্যেও তো দেখা যাচ্ছে না? ভারতীর আইনজীবীর জবাব, “আসলে রাষ্ট্রশক্তি ওঁর (ভারতীর) পিছনে পড়ে রয়েছে। উনি এখানে আসলে কোনও নতুন মামলা শুরু করে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। সেই সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আশঙ্কাও থাকে। সেই জন্যই আমরা ওঁকে বলেছি যে এখন আসার দরকার নেই। যখন হাইকোর্ট থেকে নিট অ্যান্ড ক্লিন একটা অর্ডার পাবেন, তখন আসবেন।” প্রসঙ্গত, গ্রেফতারি এড়াতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভারতী। সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের বক্তব্য না- শোনা পর্যন্ত ভারতীকে গ্রেফতার করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ভারতীর ‘আত্মগোপন’ সম্পর্কিত তাঁর আইনজীবীর দাবিকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
রাজু অবশ্য ভারতী প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যা বলার আইনজীবী বলবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy