Advertisement
০১ মে ২০২৪
Anit Thapa

বিমল গুরুং, বিনয় তামাংরা গোর্খাল্যান্ডের নামে পাহাড়ে আগুন লাগাতে চান, দাবি অনিত থাপার

বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অনিত। সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পরে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন অনিত।

Image of Bimal Gurung, Binay Tamang, Anit Thapa.

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ফের উত্তপ্ত পাহাড়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৩
Share: Save:

বিমল গুরুং ও বিনয় তামাংরা আবারও গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে পাহাড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন। এমনটাই দাবি করলেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) প্রশাসক অনিত থাপা। বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভাষণ শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অনিত। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পরে বৈঠক প্রসঙ্গে বিধানসভার প্রেস কর্নারে সাংবাদিক বৈঠক করেন অনিত। তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। আমাদের মধ্যে মূলত নীতিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৯৮৬ সাল থেকে পাহাড়ে নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আমি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আমাদের বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।”

এর পরই অনিতকে প্রশ্ন করা হয় গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে তাঁর অবস্থান কি? বিমল গুরুং ও বিনয় তামাংয়ের ভূমিকাই বা কি পাহাড়ের রাজনীতিতে? জবাবে অনিত বলেন, “গোর্খাল্যান্ড কেন্দ্রীয় বিষয়। সেই বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তা নিয়ে পাহাড়ের রাজনীতি অস্থির করে লাভ নেই। আর এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারেরও কিছু করার নেই।” এর পর তিনি আরও বলেন, “বিমল গুরুং ও বিনয় তামাংয়ের ভূমিকা নিয়ে আমি বলতে চাই, তাঁরা পাহাড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন। গোর্খাল্যান্ড এর কথা বলে তারা পাহাড়ের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁরা ধরনায় বসছেন। মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এ ভাবে পাহাড়ের উন্নয়নকে আটকাতে চাইছেন তাঁরা। আমার লক্ষ্য পাহাড়কে উন্নয়নের রাস্তায় নিয়ে যাওয়া।” বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পাহাড়ের শিক্ষা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE