ভাঙচুর: দুষ্কৃতী হামলার পরে রোশন গিরির বাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে পাহাড়ে ‘মাইন ফিল্ড’ তৈরি করার অভিযোগ আনল পুলিশ। একই সঙ্গে দাবি করা হয়, গত অন্তত তিন বছর ধরে সশস্ত্র লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন গুরুঙ্গ। এই কাজে তাঁকে প্রকাশ গুরুঙ্গ ও সঞ্জয় থুলুং সাহায্য করেছিলেন বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেন দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী।
এ দিন সাংবাদিকদের এই সব তথ্য জানিয়ে অখিলেশ বলেন, ‘‘বিমল গুরুঙ্গ যতই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলুন, আসলে তিনি সেই ২০১৪ সাল থেকেই অস্ত্র, বিস্ফোরক মজুত করছেন। তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করা হবে।’’
পুলিশের দাবি, মাইন ফিল্ড তৈরিতে কাদের ব্যবহার করা হয়েছিল, কোথায় কোন গাড়ি কত বার বদলে, কাকে টাকা দিয়ে অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল থুলুংরা— সব তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। অখিলেশের দাবি, দার্জিলিঙের বাদামতাম চা বাগান এলাকায় ‘মাইন ফিল্ড’ তৈরির কাজে নেমেছিলেন গুরুঙ্গ। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তবে তারা পৌঁছনোর আগেই বিস্ফোরক ও সামগ্রী নিয়ে গুরুঙ্গবাহিনী পালিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। অখিলেশের আরও বক্তব্য, ১৫ জুন বন্ধ শুরু হতেই নেপাল থেকে মানেভঞ্জন হয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক পাহাড়ে পৌঁছয়। প্রকাশ এবং সঞ্জয় দু’দফায় নেপালে গিয়ে ওই কাজ করেছিলেন বলেও তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের দাবি, ছোট রঙ্গিত নদীর ক্যাম্পে ছিলেন ১৫-১৬ জন এমন বন্দুকবাজ, যাঁরা দূর থেকে লক্ষ্যভেদে সিদ্ধহস্ত।
বিমল গুরুঙ্গ বুধবারই দাবি করেন, তিনি পাহাড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলেও পুলিশ তাঁকে জঙ্গি তকমা দিতে ষড়যন্ত্র করছে। তার পরেই এ দিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন অখিলেশ।
এ দিনই মোর্চা নেতা রোশন গিরির বাড়িতে দুষ্কৃতী হানার অভিযোগ ওঠে। এক হোয়াট্সঅ্যাপ বার্তায় রোশন জানান, বেশ কিছু নথিপত্র, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছে। রোশনের দাবি, ‘‘এটা পুলিশই করেছে বলে আমার সন্দেহ। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সব স্পষ্ট হবে।’’ পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। কোন্দলের জেরেই ওই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy