সামান্য কয়েকটা পুরসভার ভোট। তাতেও বিরোধীদের ভাঙিয়ে দল ভারী করে চলেছে শাসক দল! আপাতত তার সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে রায়গঞ্জে। যেখানে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের পাঁচ প্রার্থীকে নিজেদের পতাকা ধরিয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেস প্রার্থী অসীম অধিকারী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বৃহস্পতিবারই।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানদের প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে বলছেন বিজেপি-কে রুখতে হবে। আবার তাঁর দলেরই সেনাপতিরা কংগ্রেস বা বামেদের থেকে দল ভাঙিয়ে নেতা-কাউন্সিলর নিয়ে চলে আসছেন। এ ভাবে কি বিজেপি-রই সুবিধা করে দিচ্ছে না তৃণমূল, প্রশ্ন বিরোধীদের।
কংগ্রেস-বাম শিবিরে আশঙ্কা, ভোটের আগেই যে ভাবে দল ভাঙানো চলছে রায়গঞ্জে, তাতে আখেরে পুরসভার লড়াই দাঁড়াতে পারে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। সেই কারণেই তৃণমূলের এই দল ভাঙানোর খেলায় আরও বেশি অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিরোধীরা। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, তৃণমূল নেত্রী যা বলেন, বরাবর তার উল্টোটা হয়! তৃণমূলের তরফে জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর অবশ্য পাল্টা যুক্তি, তাঁরা কাউকে ভাঙিয়ে আনছেন না। কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে এবং ওই দলে কোনও ভবিষ্যৎ নেই বুঝে নেতা-কর্মীরা নিজেরাই তৃণমূলে সামিল হচ্ছেন। ঘটনা যে, প্রথম দিকে রায়গঞ্জের কংগ্রেস শিবির যথেষ্ট অগোছালোই ছিল। বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত নিজে মামলায় জর্জরিত। তাঁর ডান হাত সন্দীপ বিশ্বাসের মতো নেতাকে দলে টেনে নিয়েছে তৃণমূল। দল ভাঙানোর জেরে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতাও সমস্যায় পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy