অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনকারীদের জন্য হেল্প ডেস্ক চালু করল বিজেপি। নিজস্ব চিত্র।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদন গ্রহণ শুরু হল শনিবার। প্রথম পর্বে আবেদন নিচ্ছে বায়ুসেনা। এর পরে ১ জুলাই শুরু হবে নৌসেনায় যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ। জুলাই মাসে স্থলসেনার জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হলেও এখন পর্যন্ত দিন ক্ষণ জানানো হয়নি। এই গোটা পর্বে যাঁরা আবেদন করতে চাইবেন, তাঁদের পাশে থাকতে চায় রাজ্য বিজেপি। জেলায় জেলায় এর জন্য হেল্প ডেস্ক তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে।
চার বছরের জন্য সেনায় নিয়োগের অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার পরে দেশের অনেক জায়গাতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি জানিয়েছিলেন, যা-ই ঘটুক, প্রকল্প প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্ন নেই। সেই বিক্ষোভের আবহেই প্রকল্পের অধীনে স্থলসেনা, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনায় নিয়োগের সময়সূচি প্রকাশ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। গত সোমবারই বায়ুসেনার পক্ষে এয়ার মার্শাল এসকে ঝা জানিয়েছিলেন, নিয়োগের নিবন্ধীকরণ শুরু হবে ২৪ জুন থেকে। সেই মতো শুক্রবার থেকেই আবেদন শুরু হয়েছে।
বিজেপির পক্ষ থেকে শুক্রবার বীরভূমের সিউড়িতে একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়। দলের দাবি, শুধু সিউড়ি শহরেরই নয়, জেলার অন্যান্য জায়গা থেকেও বহু যুবক-যুবতী আবেদনের জন্য সেখানে আসেন। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘এই আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। যাবতীয় তথ্য স্ক্যান করে দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। যে কোনও ইন্টারনেট ক্যাফে থেকেই আবেদন করা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য অল্প হলেও খরচ হবে আগ্রহীদের। আমরা সেই খরচ যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে এবং পাশে থাকতেই উদ্যোগী হয়েছি।’’
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেকেই না জেনে, না বুঝে অগ্নিপথ প্রকল্পের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু আমাদের প্রথম শিবিরেই যে আগ্রহ দেখা গিয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে, যুব সমাজ এই প্রকল্প নিয়ে আগ্রহী। আমরা সেটা দেখার পরেই জেলায় জেলায় যাতে এই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া যায় তার প্রস্তুতি শুরু করেছি। দল বা শাখা সংগঠনের কর্মীরা এই কাজ দেশসেবার লক্ষ্য নিয়েই করবেন। আমরা মনে করি, অগ্নিপথ প্রকল্পে যেমন অগ্নিবীরদের কর্মসংস্থান হবে তেমনই দেশ অনেক বীর যুবককে পাবে।’’ বিজেপি মনে করছে, বায়ুসেনা বা নৌসেনার তুলনায় স্থলসেনার আবেদনে আরও বেশি যুব আগ্রহ দেখাবেন। সেই দিন ক্ষণ ঘোষণার আগেই কী ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হেল্প ডেস্ক চালু করা যায় তার উদ্যোগ নেবে বলেও ঠিক করেছে গেরুয়া শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy