ফাইল চিত্র।
টালিগঞ্জ পাড়ার কলাকুশলীদের নিয়ে নতুন একটি সংগঠনের আজ, রবিবার আনুষ্ঠানিক সূচনা। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের। তার ঠিক আগে শনিবার, রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, এ ধরনের কোনও সংগঠনকে দলীয় ‘মান্যতা’ দেওয়া হবে না। কারণ বিজেপিতে কোনও ‘শাখা’ হয় না।
রাজ্যে বিজেপি ১৮টি লোকসভা আসন পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন পেশার শ্রমিক সংগঠন নিজেদের ব্যানার নিয়ে যোগদানের জন্য রাজ্য দলের দফতরে হাজির হচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে দলে যোগ দেওয়া কোনও কোনও ব্যক্তি নতুন নতুন পেশার ব্যানারে সংগঠন তৈরির ঘোষণাও করছেন। সদ্য দলে যোগ দেওয়া ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে তেমনই এক সংগঠন ‘ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশন’। যার উদ্বোধন আজ। কিছু দিন আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আর এক জন টালিগঞ্জের শিল্পী-কলাকুশলীদের নিয়ে এমনই আর একটি সংগঠনের কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, বিজেপির ছত্রছায়ায় সংগঠনটি কাজ করবে। অগ্নিমিত্রা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর সংগঠনটির সঙ্গে সরাসরি দলের যোগ নেই। যদিও সেখানে প্রত্যেক পদাধিকারীই বিজেপি কর্মী।
এ সব নিয়েই দলের ভিতরে প্রশ্ন তুলছিলেন ‘আদি’ বিজেপির অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ’ চরিতার্থ করতেই এ ধরনের শ্রমিক সংগঠন এবং কলাকুশলীদের সংগঠন তৈরি করতে চাইছে ‘নব্য’ বিজেপির একাংশ। ‘আদি’ বিজেপির এই অভিযোগকে কার্যত মেনে নিচ্ছেন রাজ্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সুব্রতবাবুর কথায়, ‘‘সঙ্ঘের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি। তেমনই সঙ্ঘের নিজস্ব শ্রমিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন আছে। ফলে বিজেপির ভিতরে এ ধরনের শাখা তৈরি করা সাংগঠনিক ভাবেই সম্ভব নয়। বিজেপি এ ধরনের কোনও শাখাকে মান্যতাও দেয় না।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, কেউ শ্রমিক সংগঠনে যোগ দিতে চাইলে সরাসরি সঙ্ঘের সংগঠনে যোগ দিতে হবে। ফলে বিজেপির মধ্যে যাঁরা এ ধরনের শাখা সংগঠন তৈরি করতে চাইছেন, তাঁদের তা নিজেদের দায়িত্বে করতে হবে। বিজেপি এর মধ্যে জড়াবেও না, কোনও দায়ও নেবে না।
দিলীপবাবু আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। দলের পদাধিকারী হিসেবে নয়। সুব্রতবাবুর দাবি, বিষয়টি নিয়ে দলের সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। কাল, রবিবার দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রাজ্য নেতৃত্ব এবং রাজ্যের ১৮ জন সাংসদের। সেখানেও এ বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, রবিবার শাহের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠক সাংগঠনিক। রাজ্য দলের সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী চৌধুরী, মহিলা মোর্চার সভাপতি লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ জেলার একাধিক পদাধিকারী সাংসদ হয়ে যাওয়ায় সে জায়গায় নতুন মুখ আনা হবে কি না, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy