প্রতীকী ছবি। সৌজন্যে শাটারস্টক।
জনা চল্লিশেক যাত্রী। সঙ্গে তেরোটি মোটরবাইক ও সাইকেল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত যাত্রী ও বাইকের বহর দেখে মাঝি রে রে করে উঠেছিলেন। কিন্তু তাঁর কথায় আমল দেননি কেউই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নদীর পাড় থেকে কিছুটা এগোনোর পরেই টলোমলো করে যাত্রী নিয়ে উল্টে যায় নৌকাটি।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মধ্য গরিবপুরের ওই ঘটনার পরে ছুটে আসেন ডোমকলের পুলিশ-প্রশাসনের কর্তা ও পুরপ্রধান সৌমিক হোসেন। পুলিশ জেনেছে, মহিলা ও শিশু-সহ নৌকায় প্রায় চল্লিশ জন ছিলেন। রাত ন’টা পর্যন্ত ২৭ জন নিখোঁজ। খোঁজ মেলেনি নৌকাটিরও।
ডোমকলের এসডিপিও মাকসুদ হাসান বলছেন, ‘‘স্থানীয় মাঝি ও দক্ষ লোকজনদের নিয়েই তল্লাশি চলছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে জেনারেটরের। খবর দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরেও।’’
আরও পড়ুন: ভারতের আকাশে উড়তে পারে এই উব্র ট্যাক্সি!
ভাদ্রের ভৈরব। নদীতে জলও রয়েছে বিস্তর। মধ্য গরিবপুর থেকে বিলদামোস পর্যন্ত ফেরি চলাচল করে। এ দিন সন্ধ্যায়, মধ্য গরিবপুর থেকেই যাত্রীরা উঠেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গরিবপুরে পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এক যুবক। তাঁকে কবর দিয়ে ফিরছিলেন অনেকে। তাঁরাও ছিলেন ওই নৌকায়। নৌকায় বেশি ভিড় হয়ে গিয়েছে দেখে মাঝি কয়েক জনকে নামতে বলেন। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় কেউ নামেননি।
নৌকাডুবির পরে আড়াই বছরের শিশুসন্তানকে নিয়েই সাঁতরে পাড়ে উঠেছেন বিলদামোসের বাসিন্দা নার্গিস বিবি। তাঁর কথায়, ‘‘নৌকায় খুব ভিড় ছিল। কিছুটা যেতেই টলোমলো করতে শুরু করে। তার পরেই ভুস করে তলিয়ে গেল। ছেলেকে নিয়েই কোনও রকমে ভাসার চেষ্টা করি। বরাত জোরে পেয়ে যাই একটা পাটের জাঁক।’’ মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলাগানাথন বলেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের লোকজনকে পাঠানো হয়েছে।’’
দুই বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, 'বাংলার' খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy