ভগ্নদশা: ভেঙে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদীর উপরে এই লোহার সেতুটি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে বিদ্যাধরী নদীর উপরে বোয়ালঘাটা সেতু। কিন্তু সেই নতুন সেতুতে ওঠানামার জন্য সংযোগকারী রাস্তার কাজ জমিজটে আটকে। ফলে নতুন সেতু আজও চালু করা যায়নি। বাধ্য হয়েই যাতায়াতের জন্য সম্বল বলতে রয়েছে বছর চল্লিশের পুরানো লোহার একটি সেতু। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ পুরনো সেই সেতুর ভেঙে পড়ে নদীতে। এই ঘটনায় এক বাইকআরোহী এবং আর এক ব্যক্তি পড়ে যান জলে। কোনও ক্রমে সাঁতরে উঠে রক্ষা পান তাঁরা।
বিদ্যাধরী নদীর এই সেতুর এক দিকে রয়েছে শাসন, অন্য দিকে হাড়োয়া। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যে কম সময়ে যাতায়াতের জন্য এই এলাকায় একমাত্র সেতুও এটি। ১৫০ ফুট লম্বা, ৫ ফুট চওড়া লোহার সেতুর উপরে পাতা রয়েছে সিমেন্টের স্ল্যাব। যার উপর দিয়ে প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুর মুখেও প্রশাসনের তরফে ঝোলানো আছে নোটিস, ‘বিপজ্জনক সেতু’। নতুন সেতুটি চালু না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পুরনোটির উপর দিয়েই চলাচল করে যাত্রী বোঝাই টোটো, ভ্যান, সাইকেল ও মোটরবাইক।
এ দিন দুর্ঘটনার সময়ে জোয়ার থাকায় নদীতে বেশ স্রোত ছিল। বাসিন্দারা জানান, বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পান হাড়োয়ার খাড়ুবালার বাসিন্দা পিন্টু মোল্লা নামে ওই বাইকচালক ও শাসনের মিতপুকুরের বাসিন্দা কমল মণ্ডল। দুর্ঘটনার পরে জনতার ক্ষোভ সামলাতে শাসন থানা থেকে পুলিশ পিকেটও বসানো হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিদ্যাধরীর উপরে নতুন সেতু তৈরি হলেও দু’দিকের রাস্তা জমিজটে আটকে আছে। এখনও সমাধান হয়নি।’’ স্থানীয়েরা জানান, উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থানার ওপারে হাড়োয়ার সালিপুর, আন্দুলিয়া মাঠপাড়া, বহড়াতলা, অন্য দিকে ভাঙড় ও কাশীপুরের মানুষের চাষবাস, পড়াশোনা, বাজারহাট, ব্যবসা সব কিছুই এই সেতুর উপরে নির্ভরশীল। তাঁদের দাবি, সাত বছর ধরে পড়ে থাকা সেতুর রাস্তার কাজ শেষ করে চলাচলের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিমল মণ্ডল এ দিন বলেন, ‘‘জমিজটে সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির সমস্যা ছিল। জট কাটিয়ে রাস্তার কাজ শেষ করে শীঘ্রই যান চলাচল শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy