শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী
ত্রিপল চুরি মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌমেন্দু। গ্রেফতারি এড়াতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়নি। ফলে আপতত তাঁদেরকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
কাঁথি পুরসভার ত্রিপল চুরিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু এবং তাঁর ভাই তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে। গত ২৯ মে এই মর্মে তাঁদের নামে কাঁথি থানায় এফআইআর দায়ের হয়। এফআইআর করেন ওই পুরসভারই প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য রত্নদীপ মান্না। এই ঘটনায় অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ পুরসভার এক কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারির আশঙ্কা তৈরি হয় শুভেন্দুদেরও। ফলে আগাম সতর্কতা হিসাবে তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই এফআইআরের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন অধিকারীরা। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারক তীর্থঙ্কর বসুর বেঞ্চে। মামলার কেস ডায়েরি না এসে পৌঁছনোয় বিচারপতি ওই আবেদনের শুনানি করেননি। আদালতে কাছে কেস ডায়েরি জমা হওয়ার পরই অভিযুক্তদের আবেদন খতিয়ে দেখা হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২২ জুন।
এর আগে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা মামলায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার নাম উঠে আসে। এ বার ত্রিপল চুরি মামলায় সরাসরি তাঁর নাম উঠে এল। যার ফলে কিছুটা অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির। তবে এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরা। তাঁদের মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশ চরিতার্থ করতেই বিরোধী দলনেতাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy