কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের রাজ্যকে প্রশ্নের মুখে ফেলল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান, এই মামলায় রাজ্য পুলিশের বিধাননগর (উত্তর) থানা যে এফআইআর করেছে তার ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সিবিআই অনুসন্ধান আটকাতেই কি শুধু এফআইআর করা হয়েছিল?’’ রাজ্য পুলিশ কী তদন্ত করেছে সেই ব্যাপারে ২৯ এপ্রিল, পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন তিনি।
এ দিন আদালতের নির্দেশ মতো সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান অশ্বিন শেণবি অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেন। তাঁকে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘রিপোর্টে বেশ কিছু বিষয় দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?’’ অশ্বিন জানান, কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা রিপোর্টের সঙ্গেই বলা আছে। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের রিপোর্টে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। সেগুলিকে আদালতও যথেষ্ট গুরুত্ব দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জিটিএ আওতাভুক্ত এলাকায় শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে এক সরকারি আধিকারিক বিচারপতি বসুকে চিঠিও দিয়েছিলেন। তার পরেই বিষয়টি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দিতে বলেন বিচারপতি বসু। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রাজ্য দ্বারস্থ হলেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। সূত্রের খবর, জিটিএ শিক্ষক নিয়োগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক প্রভাবশালী নেতা, জিটিএ-র এক পদাধিকারীর নামও জড়িয়েছে।
এ দিন রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান, ৪৩৯ জনের নিয়োগে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছিল। বাকি ৩১৩ জনকে রাজ্য যাচাই করলেও নিয়োগে অনুমোদন দেয়নি। পাল্টা জিটিএর আইনজীবী বলেন, রাজ্য নিজের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। রাজ্য নির্দেশ দিয়েছিল বলেই তাঁদের নিযুক্ত করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy