Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Justice Biswajit Basu

অবৈধদের চাকরি বাতিলে সমস্যায় পড়বে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা! নিজের নির্দেশ নিয়েই মন্তব্য বিচারপতির

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ৮০৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে এসএসসি। ওই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

Calcutta High Court\\\\\\\'s justice Biswajit Basu said if teachers who allegedly involved in recruitment scam terminated, then students suffered for that

অবৈধদের চাকরি বাতিলে সমস্যায় পড়বে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা! নিজের রায় নিয়েই মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১২
Share: Save:

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখনই চাকরি বাতিল হলে অসুবিধায় পড়বে পরীক্ষার্থীরা। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় তিনি বলেন, “নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ৯৫২ জন শিক্ষকের ভাগ্য ঝুলছে। তাঁদের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উচ্চতর বেঞ্চে মামলাগুলি বিচারাধীন রয়েছে। সেখানের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। এই সময় মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে সমস্যা তৈরি হবে। রায় আসতে আসতে পরীক্ষাও শেষ হবে। সেই রায়ের উপরই আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।”

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলা প্রথমে ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। পরে সেই মামলাই হস্তান্তর হয়ে যায় বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি চলাকালীন সিবিআই তদন্ত-সহ একাধিক নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত ৯৫২ জন প্রার্থীকে মামলায় যুক্ত করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে বিচারপতি বসুর বেঞ্চে মামলাটি উঠলে তিনি ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। কারণ কমিশনই বলেছিল, এই ৮০৫ জনর উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে তারা বুঝেছে, তা বিকৃত করা হয়েছে। এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। আদালত তাঁদের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে। তবে চাকরি খোয়ানো প্রার্থীদের দাবি অনুযায়ী, একক বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০১৬ সালে নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ বলে গণ্য ৮০৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে এসএসসি। এই মামলায় এসএসসিকে ওই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তার জবাবে এসএসসির সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট আইন মেনে ওই শিক্ষকদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে। সেই মতো প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিল করে এসএসসি। এসএসসির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এই ৬১৮ জনের অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। অনেকে দুই বা তিন পেয়েছেন। আপাতত এই ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করলেও, পরে আরও অযোগ্য প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE