Advertisement
১৯ মে ২০২৪
CBI Raid

নিউ ব্যারাকপুর, টাকিতেও সিবিআই হানা, পুরসভার নিয়োগ মামলায় একযোগে ১২ জায়গায় চলছে তল্লাশি

রবিবার সকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে সিবিআই হানার খবর মেলে। একে একে বিধায়ক মদন মিত্র-সহ জেলা তৃণমূলের এক ঝাঁক নেতা, যাঁরা মূলত প্রাক্তন পুরপ্রধান, তাঁদের বাড়িতে যায় সিবিআই।

নিউ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধানের বাড়ি। সেখানেও গিয়েছে সিবিআই।

নিউ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধানের বাড়ি। সেখানেও গিয়েছে সিবিআই। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:১৭
Share: Save:

পুর নিয়োগ মামলায় রাজ্যের দিকে দিকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদারের বাড়িতে সিবিআই হানার খবর মিলেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে তৃপ্তির বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি খতিয়ে দেখতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া, দমদম পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহের বাড়িতেও চলে সিবিআইয়ের অভিযান।

বস্তুত, পুর নিয়োগ মামলায় রবিবার সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়ার খবর মেলে। তার পর একে একে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং দক্ষিণেশ্বরের আবাসস্থলে সিবিআই অভিযান হয়। তারও একটু পরেই কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় সিবিআই হানার খবর পাওয়া যায়। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়াতে যায় সিবিআই।

হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায় ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। রবিবার সকালে অংশুমানের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল। তাঁর বাড়ির আলমারি ঘেঁটে কাগজপত্র বার করে দেখতে থাকেন আধিকারিকেরা। তার পর কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদমা রায়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চলে। ওই পুরসভাতেও কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রয়েছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, মোট ১২ জায়গায় এই অভিযান চলছে। ওই এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ব্যারাকপুর, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, কৃষ্ণনগর, টাকি, কামারহাটি, চেতলা, ভবানীপুর।

অন্য দিকে, সিবিআইয়ের এই অভিযানের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল। তাদের দাবি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে হেনস্থার চেষ্টা চলছে। যদিও ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE