প্রতীকী ছবি।
অবশেষে বিবাদ মিটল তাজপুর নিয়ে। এখানে বন্দর নির্মাণ ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। বুধবার দিল্লিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় জাহাজসচিব রাজীব কুমারের বৈঠক হয়। সেখানেই তাজপুর বন্দর নির্মাণের ব্যাপারে দু’পক্ষ এক মত হয়েছে।
বন্দর নির্মাণের শর্ত এবং অংশীদারির বিষয়গুলি দু’এক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতি ও শুক্রবার গোয়াতে দেশের সমস্ত বন্দরের প্রধানদের বৈঠকে ডেকেছেন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। সেখানে জাহাজসচিব রাজ্যের প্রস্তাবটি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তার পরেই রাজ্যের হাতে দিল্লির ছাড়পত্র আসবে।
আরও পড়ুন: স্বামীকে মারছে প্রেমিক, ‘লাইভ’ শুনল স্ত্রী
তাজপুরে বেসরকারি উদ্যোগে বন্দর নির্মাণে আগ্রহে দেখিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়। বন্দরের যুক্তি ছিল, ইতিমধ্যেই কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে সাগরে একটি বন্দর নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে বন্দরের নাম ভোরসাগর। এখন তাজপুরে বন্দর হলে অর্থনৈতিক ভাবে ভোরসাগর বন্দরের আর কোনও ভবিষ্যৎ থাকবে না। শুধু তা-ই নয়, হলদিয়া বন্দরের ৩০ শতাংশ পণ্যও চলে যেতে পারে তাজপুরে। ফলে সব মিলিয়ে কলকাতা বন্দরের বেহাল দশা হবে।
এই অবস্থায় কেন্দ্র শর্ত দেয়, তাজপুরে যদি তাদের অংশীদারি দেওয়া হয় তবেই তারা ভোরসাগর বন্দর করবে, নচেৎ নয়। জটিলতা কাটাতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে নিতিন গডকড়ীর বৈঠকও হয়। তার পর এ দিনের বৈঠক। জানা গিয়েছে, তাজপুরে কেন্দ্রের অংশীদারি বাড়াতে রাজি হয়েছে রাজ্য। আপাতত সাগর বন্দর হবে না। তাজপুর তৈরি শেষ হলে ভোরসাগর নির্মাণে হাত দেওয়া হবে। তবে সাগরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে কচুবেড়িয়া ও হারউড পয়েন্টের মধ্যে মুড়িগঙ্গা নদীর উপরে সেতুর কাজ শুরু হবে। খরচ হবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি। যা কেন্দ্রই দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy