জেলাশাসক-পুলিশ কর্তাদের বৈঠকে জেলা ধরে ধরে প্রশ্নবাণ ছুঁড়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ছবি: পিটিআই।
রীতিমতো হোমওয়ার্ক করেই রাজ্যে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক-পুলিশ কর্তাদের বৈঠকে যে ভাবে তাঁরা জেলা ধরে ধরে প্রশ্নবাণ ছুঁড়েছেন তাতে এমনটাই মনে হয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের।
মালদহের জেলাশাসক বৃহস্পতিবার জানান, ফরাক্কা সেতুর সংস্কারের কাজ এবং ভাঙাচোরা জাতীয় সড়কই তাঁর জেলার ভোটে বড় চ্যালেঞ্জ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, তাঁর জেলায় আগে কখনও ভোট হয়নি। যদি হয়ে থাকে, তিনি তো অনেক কিছুই লুকোচ্ছেন। অরোরার প্রশ্ন, নকল টাকা, আফিম কিছু নেই কি?
বোমা উদ্ধারের কৃতিত্ব দাবি করতে গিয়ে বীরভূম-মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপাররা আবার উল্টো চাপে পড়েন। কমিশনার জানতে চান, কোথা থেকে, কারা, কী ভাবে তা নিয়ে এসেছে, তার তদন্ত হয়েছে? তখন অফিসারদের আমতা আমতা করতে দেখা যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে কমিশনার জানতে চান, তাঁর জেলায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা হঠাৎ কমল কেন? পুলিশ সুপার জানান, ঝাড়গ্রাম পৃথক জেলা হওয়ায় অনেক স্পর্শকাতর বুথ সেখানে চলে গিয়েছে। মাওবাদী কার্যকলাপ কমাও অন্য একটি কারণ। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক কমিশনকে জানান, গোর্খা আন্দোলনের দাগিরা তাড়া খেয়ে নেপালে পালিয়েছে। ফলে নেপাল সীমান্তে মার্চের গোড়া থেকে প্রহরা বাড়াতে হবে। কমিশন অন্য আন্তর্জাতিক সীমান্তেও প্রহরা বাড়াতে নির্দেশ দেন। ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণে ঘাটতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা নিয়েও উত্তর ২৪ পরগনার এক পুলিশ কর্তাকে জবাবদিহি করতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy