শনিবার সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব ছবি।
বহু প্রতীক্ষিত কালীঘাট ‘স্কাইওয়াক’ চালু হবে আগামী অগস্টে। কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে এসে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন তিনি। পুজো শেষে মন্দির চত্বর ঘুরে দেখার পর মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পাশে নিয়ে মন্দিরের বাইরে নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হওয়ার সময়সীমা জানিয়ে দিলেন।
মমতা বলেন, ‘‘আমি প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের আগের দিন কালীঘাট মন্দিরে আসি, পুজো দিই। এই যে কালীমন্দিরে কাজ চলছে, কুন্ডুপুকুর থেকে শুরু করে পুরোটাই। মন্দিরের ভিতরের সঙ্গে বাইরেও কাজ চলছে। এ ছাড়াও স্কাইওয়াকের কাজ চলছে, অগস্ট মাসে শেষ হয়ে যাবে।’’ স্কাইওয়াক তৈরি হলেও তা চালু হতে কেন সময় লাগছে, সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এখনও আমরা অফিশিয়ালি ওপেন এখনও করিনি। কারণ যত ক্ষণ স্কাইওয়াকের কাজটা হচ্ছে, তত দিন হকারদের এনে বসানো যাবে না। সব কিছু একটা সিস্টেমে আনতে হবে।’’
কালীঘাট মন্দির সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছে মুকেশ অম্বানির রিলায়্যান্স গোষ্ঠী। মন্দির নতুন করে সাজিয়ে তোলা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘মুকেশরা মন্দিরের চূড়াটা করেছে। আমরাও সংস্কারের কাজ করেছি। প্রায় ২০০ কোটি টাকা আমাদেরও খরচ হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করেছি। দিঘায় জগন্নাথধামও হচ্ছে। আমি চাই সব ধর্মের মানুষ, সব সময় শান্তিতে থাকুন।’’
মন্দিরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই ভ্রাতৃবধূ লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই কালীঘাট মন্দিরে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা আজানিয়া। পুজো দেওয়ার পর নতুন রূপে সেজে ওঠা কালীঘাট মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় কালীঘাটে ছিলেন মমতা। তবে কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার আগে তিনি যান মন্দির চত্বরেই থাকা নকুলেশ্বর ভৈরব মন্দিরে। সেখানও পূজা অর্চনা করেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy